প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম
ইসরায়েলে বিচার বিভাগের সংস্কারকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে বিভাজন দূর করার অঙ্গীকার করেছেন। বিরোধীরা পুরো প্রক্রিয়া মুলতবি রাখার দাবি জানাচ্ছে।
ইসরায়েলের সরকার বিচার বিভাগের ‘সংস্কার’ এর নামে গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল করার চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগে পুরো দেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ আরেও তীব্র হচ্ছে। তাদের দাবি, বাস্তবে রাজনীতিকদের হাতে আদালতের তুলনায় বেশি ক্ষমতা তুলে দিতে নেতানিয়াহু এমন বিতর্কিত পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
কারণ প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্য তদন্ত ও শাস্তি এড়াতে এমন হাতিয়ার দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই (২৩ মার্চ) সংসদে বিতর্কিত একটি আইন অনুমোদিত হয়েছে, যার আওতায় কোনো প্রধানমন্ত্রীকে পদের অযোগ্য ঘোষণা করতে শর্তগুলো আরও কঠিন করা হয়েছে।
বিরোধী পক্ষের শীর্ষ নেতা ইয়াইর লাপিদ সেই পদক্ষেপকে নেতানিয়াহুকে রক্ষার ‘ব্যক্তিগত আইন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি নেতানিয়াহুর লিকুদ দলের মধ্যে ‘দায়িত্বশীল’ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তেল আবিব শহরের বাইরে বিক্ষোভকারীরা হাইওয়ে অবরোধ করায় পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। ইসরায়েলের অন্যান্য শহরেও হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। অনেকে দেশে স্বৈরতন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
জেরুসালেমে নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনেও প্রতিবাদ দেখা গেছে। দেশে ও বিদেশে প্রবল চাপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আপোসের ইঙ্গিত দিয়েছেন। জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশন ভাষণে তিনি সংস্কারের পদক্ষেপ চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করলেও সেই প্রস্তাবের সমর্থক ও বিরোধীদের জন্য গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্রে পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।