প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩, ১২:৪৯ এএম
তিন সন্তানের এক জননী লটারিতে কোটি কোটি টাকা জিতে স্বামীকে ছেড়ে চলে গেলেন ! শুধু তাই নয়, স্বামী-সন্তানদের ফেলে রেখে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিয়েও করেছেন ওই নারী।
ঘটনাটি ঘটেছে থাইলান্ডে। এ ঘটনায় স্ত্রী চাউইওয়ানের (৪৩) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন স্বামী নারিন (৪৭)।
স্থানীয় গণ মাধ্যমের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, বছর ২০ আগে চাউইওয়ানকে বিয়ে করেন নারেন। তাদের তিনটি মেয়েও আছে। স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন নারেন।
নারিন পুলিশকে বলেন, আমরা ৬২ লাখ টাকার মতো ঋণ হয়েছিলাম। ২০১৪ সালে সপরিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় যাই; যাতে ঋণ পরিশোধ করতে পারি। কয়েক বছর পর আমার স্ত্রী বাচ্চাদের দেখাশোনার জন্য থাইল্যান্ডে ফিরে আসে।
তিনি বলেন, আমি প্রতি মাসে স্ত্রীকে সংসার খরচের জন্য ৩০ হাজার ভাট (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪ হাজার টাকা) পাঠাতাম। একদিন মেয়ের কাছ থেকে আমি জানতে পারি, চাউইওয়ান লটারিতে ১২ মিলিয়ন বাথ (৩ কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার) জিতেছে। কিন্তু লটারির বিষয়টা আমাকে সে জানায়নি। আমি স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও আমার সঙ্গে কথা বলত না। গত ৩ মার্চ আমি থাইল্যান্ডে ফিরে এসে তখন জানতে পারি সে আবার বিয়ে করেছে।
‘আমি বিষয়টি জেনে খুবই হতাশ হয়ে পড়ি। আমার ব্যাংকে মাত্র ৬০ হাজার ভাট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ লাখ টাকা) আছে। আমি প্রতি মাসে সংসার খরচ দিতাম। আমার এখন বিচার চাই। আমার প্রাপ্য টাকা ফেরত পেতে চাই।’
অন্যদিকে চাউইওয়ান নারিনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, নারিনের কাছ থেকে তিনি লটারির টাকার বিষয়টি লুকাননি।
তিনি আরও বলেন, নারিন কয়েক বছর আগে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ফোন করেছিল। তার প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানে। অবশ্য বিচ্ছেদের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নারিন।
চাউইওয়ান আরও দাবি করেন, নারিন কখনোই তাকে এত টাকা পাঠায়নি। তাদের মেয়েদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র ৩০-৪০ হাজার বাথ আছে।
নারিন ও চাউইওয়ানের আইনি মতে বিয়ে হয়নি। নারিনের উকিল জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ের বিষয়টি জানতেন, তাই তার টাকা পাওয়ার অধিকার আছে।