• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাতিসংঘের সুখি দেশের তালিকায় পিছিয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৩, ১১:৩৭ পিএম

জাতিসংঘের সুখি দেশের তালিকায় পিছিয়েছে বাংলাদেশ

সুখি দেশের তালিকায় পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বের সুখি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আর সে তালিকায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশের অবস্থান। কিন্তু এই দুই দেশকে টপকে আরও এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তালিকায় ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮, ভারতের অবস্থান ১২৬ আর পাকিস্তানের ১০৮। এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৪।
দক্ষিণ-এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপালের অবস্থান ৭৮, শ্রীলঙ্কা ১১২, মিয়ানমার ১১৭। আর এ সুখি দেশের তালিকায় সবশেষে রয়েছে দক্ষিণ-এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানের নাম। এর অবস্থান ১৩৭তম।
সোমবার (২০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। ২০১৩ সাল থেকে সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে সুখের গুরুত্ব তুলে ধরতে এই দিনে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালন শুরু করে জাতিসংঘ। আর এ দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক বছর সুখি দেশের তালিকা প্রকাশ করে থাকে সংস্থাটি। এবারের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-২০২৩-এ ১৩৭টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


সুখি দেশের তালিকায় টানা ষষ্ঠবারের মতো প্রথম অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। তারপরের অবস্থানে আছে ডেনমার্ক। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে আইল্যান্ড ও ইসরায়েল। সুখি ১০টি দেশের তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে নেদারল্যান্ডস (৫ম), সুইডেন (৬ষ্ঠ), নরওয়ে (৭ম) সুইজারল্যান্ড (৮ম), লুক্সেমবার্গ (৯ম) ও নিউজিল্যান্ড (১০ম)। সুখি দেশের তালিকায় অন্যান্য দেশের মধ্যে কানাডার অবস্থান ১৩, যুক্তরাষ্ট্র ১৫, ফ্রান্স ২১, ব্রাজিল ৪৯, আর্জেন্টিনা ৫২, চীন ৬৪তম অবস্থানে রয়েছে। তালিকার ২৬তম অবস্থানে থেকে আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুখি সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর সৌদি আরবের অবস্থান ৩০। অন্যদিকে সুখি দেশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে ১৩৭তম অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। তালিকায় সর্বনিম্নে থাকা বাকি ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে লেবানন (১৩৬), সিয়েরা লিওন (১৩৫), জিম্বাবুয়ে (১৩৪), ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (১৩৩), বতসোয়ানা (১৩২), মালাউয়ি (১৩১), কমোরোস (১৩০), তানজানিয়া (১২৯) ও জাম্বিয়া (১২৮)। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-২০২৩-এ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থান ৯২ আর রাশিয়া রয়েছে ৭০তম অবস্থানে।
সুখি দেশের প্রতিবেদন তৈরির সময় প্রতিটি দেশের মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়নের পাশাপাশি আরও ছয়টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তা হলো, ব্যক্তির সামাজিক পরিস্থিতি, আয়, স্বাস্থ্যগত অবস্থা, স্বাধীনতা, উদারতা ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনা।

 

আরিয়ানএস/

আর্কাইভ