প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩, ০৫:২৯ পিএম
বিয়েতে কনের আত্মীয়-স্বজনরা উপহার দেয় এটা প্রচলিত রীতি। তবে কখনো কি শুনেছেন, কনেকে তার আত্মীয়রা নগদ অর্থসহ কোটি টাকার উপহার দিতে? ভারতের রাজস্থানের একটি বিয়েতে ৮১ লাখ নগদসহ ৩ কোটি টাকার বেশি মূল্যের উপহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। খবর ইন্ডিয়া টাইমসের।
গত বুধবার (১৫ মার্চ) ঘেবরি দেবী এবং ভানওয়ারলাল পোতালিয়ার কন্যা অনুস্কা ৭ পাকে বাঁধা পড়েন। এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজস্থানের নগৌর জেলায়।
জানা গেছে, বিয়েতে পাত্রীর দাদা এবং মামারা নগদ ৮০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। পাশাপাশি, ২৩ লাখ টাকা মূল্যের গয়না ও জামাকাপড় এবং অন্যান্য সামগ্রী একটি ট্র্যাক্টর-ট্রলিতে করে নিয়ে আসেন তারা। এই দৃশ্য দেখে আমন্ত্রিত অতিথিরা রীতিমতো অবাক।
পাত্রীর দাদা হলেন- বুরডি গ্রামের বাসিন্দা ভানওয়ারলাল গরওয়া। তিনি এবং তার ৩ ছেলে হরেন্দ্র, রামেশ্বর এবং রাজেন্দ্র অনুস্কাকে একাধিক উপহার দেন। বাপের বাড়ির লোকের এই ব্যবহারে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন ঘেবরি দেবী ও তার পরিবার।
পাত্রীর দাদা ভানওয়ারলাল বলেন, অনুস্কা হলেন তাদের পরিবারের একমাত্র মেয়ে। তার কারণেই পরিবারের তিন ছেলের এত প্রতিপত্তি হয়েছে।
তাই তাদের বাড়ির মেয়ের বিয়েতে তাকে উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিতে চেয়েছেন তারা। এই বিয়েতে ৮১ লাখ টাকার পাশাপাশি সাড়ে ১৬ বিঘা চাষযোগ্য জমি, নগৌর রিং রোডের কাছে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমি, ৪১ ভরি সোনা এবং ৩ কেজি রুপোর গয়না দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও তিনি অনুস্কাকে একটি নতুন খাদ্যসামগ্রীর বস্তা ভর্তি ট্রাক্টর-ট্রলি এবং একটি স্কুটি উপহার দিয়েছেন।
এই প্রথার নাম হলো মায়রা। পাত্রীর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে এই প্রথা পালন করার রীতি রয়েছে। এটিকে ‘ভাত’ও বলা হয়। এই প্রথায় পাত্রীর মামারা তাকে জামাকাপড়, গয়না, নগদ টাকা এবং অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দেন। পাত্রীর মায়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের জন্যেও জামাকাপড় ও গয়নাগাঁটি দেয়ার চল রয়েছে।
এএল/