• ঢাকা শনিবার
    ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘শক্তির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে করোনাভাইরাস’

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২১, ০১:০৪ পিএম

‘শক্তির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে করোনাভাইরাস’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেল্টা’ নিয়ে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এরই মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে নতুন এক অনুসন্ধান। ‘ন্যাচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, শক্তির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে করোনাভাইরাস। ভাইরাসটির নতুন স্ট্রেইন আনার ক্ষমতাও প্রায় শেষ। গত দেড় বছরে ক্রমাগত মিউটেশন ঘটিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-টু।

আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা— একাধিক ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন’ তৈরি করেছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি। সম্প্রতি পেরুতেও ল্যাম্বডা স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে। সেটিকে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব ইনটারেস্ট’ তালিকায় নজরবন্দী রাখা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে শক্তিশালী ডেল্টা। এর বেশি আর শক্তি বাড়াতে পারবে না ভাইরাসটি। অনেকটা যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ভাইরাসটি।

স্পাইক প্রোটিনের সজ্জাবিন্যাস ও গঠন ক্রমাগত বদলাতে দক্ষ করোনাভাইরাস গত দেড় বছরে নতুন নতুন মিউটেটেড স্ট্রেইন তৈরি করেছে। আর এভাবেই মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে লাগাতার ধোঁকা দিয়েছে সে।

ন্যাচার-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির সঙ্গে যুক্ত অন্যতম বিজ্ঞানী তথা আমেরিকার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা এরিক টোপলের ভাষ্যমতে, সবকটি স্ট্রেইনের মধ্যে ডেল্টাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এ বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এখানেই এর শেষ বলে মনে করছেন তারা।

ওই গবেষণায় আরও ছিলেন ইতালির ভাইরোলজিস্ট, পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবার্টো বুরিয়োনি। তিনি বলেন, আমরা গবেষণায় যা দেখছি, তাতে বলা যায়, সার্স-কোভ-২-এর ডেল্টা স্ট্রেন খুব সম্ভবত এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে, তার স্পাইক প্রোটিনে আর মিউটেশন ঘটানো সম্ভব নয়। ছোটখাট বদলও নয়। এটাই হয়ত ভাইরাসের সর্বশেষ রূপ। বেশ কয়েক বছর পরে হয়ত সামান্য বদল হবে। যেমনটা ফ্ল‍ু ভাইরাসের ক্ষেত্রে হয়।

গবেষণাপত্রটি এমন আশার আলো দেখালেও, আপাতত চিন্তা ডেল্টা স্ট্রেইনকে সামলানো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অন্তত ৮৫টি দেশে ছড়িয়েছে ডেল্টা। আলফা স্ট্রেন মিলেছে ১৭০টি দেশে। বিটা পাওয়া গিয়েছে ১১৯টি দেশে, আর গামা ৭১টি দেশে।

বিজ্ঞানীদের অভিমত, আপাতত বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাবে ডেল্টাই। একে রুখতে হলে একমাত্র পথ টিকাকরণ। তাতেও হয়ত সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। কিন্তু মৃত্যুর মতো পরিণতির আশঙ্কা কম। টিকা নেয়া থাকলে বাড়াবাড়ি কম হবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

শামীম/নির্জন
আর্কাইভ