• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

স্ত্রী-ছেলে রেখে অন্য লোকের বউ নিয়ে পালালো স্বামী অতঃপর..

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩, ১২:০৩ এএম

স্ত্রী-ছেলে রেখে অন্য লোকের বউ নিয়ে পালালো স্বামী অতঃপর..

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঘরে ছেলে এবং স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করলেন স্বামী। তাই স্বামীর গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে অনশন করছেন এক গৃহবধূ। হাতে পোস্টার নিয়ে রীতিমতো স্বামীকে গ্রেফতার ও তাঁর ভরণপোষণের দাবি তুলে অনশন করছেন ওই গৃহবধূ সহ পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হুগলি জেলার গোঘাট থানায়।

অসহায় গৃহবধূর দাবি, তাঁদের একটি সন্তান রয়েছে, তা পরেও স্বামী শেখ সাইফুল অন্য এক গৃহবধূকে নিয়ে পালিয়ে যায় বেশ কয়েক মাস আগে। তারপর থেকে সে আর কোনও যোগাযোগ রাখেনি। শনিবার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ওই গৃহবধূর খোঁজ পাওয়া যায়। সেখানে তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্বামীর শাস্তির দাবিতে গোঘাট থানায় দ্বারস্থও হন তাঁরা।

পুলিশ প্রথমে মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু সকাল থেকে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখার পর জানতে পারে অভিযুক্ত ওই গৃহবধূকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তাই স্বামীর শাস্তিরও দাবি তুলে থানার সামনে ধরণা দেওয়া শুরু করে তারা। পাশাপাশি তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তোলে।

হুগলির অসহায় ওই গৃহবধূর নাম আমিনা বেগম। বাড়ি গোঘাট থানার সানবাঁদি এলাকায়। এদিন ওই অসহায় গৃহবধূ আমিনা বেগমের সঙ্গে ছিলেন তার আত্মীয় ও বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁরাও থানায় বিচার চেয়ে ধরণায় বসেন। জানা গেছে, সানবাঁদি এলাকার বাসিন্দা শেখ সাইফুলের সঙ্গে প্রায় দশ বছর আগে আমিনা বেগমের বিবাহ হয়। তাঁদের এক সন্তানও আছে। জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে শেখ সাইফুল মুম্বইয়ে থাকেন। কিন্তু বাড়িতে আসা যাওয়া ও নানা অনুষ্ঠান বাড়িতে দেখা হওয়ার সুত্র ধরে অন্য একটি গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই গৃহবধূরও একটি সন্তান আছে।তার নাকি হার্টের সমস্যা ছিল। তাই শেখ সাইফুল ওই গৃহবধূ ও তাঁর সন্তানকে নিয়ে মুম্বইয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেই সময়ই তাঁদের মধ্যে নাকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বলে অভিযোগ । এরপর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হলেও আমিনা বেগম জানতে পারেনি। সাইফুল মুম্বই থেকে সানবাঁদিতে ওই গৃহবধূর বাড়িতে এলেও আমিনা বেগম কিছুই জানতেন  না বলে অভিযোগ।

এই বিষয়ে অসহায় গৃহবধূ আমিনা বেগম বলেন, স্বামী শুক্রবার ওই গৃহবধূকে নিয়ে থানায় এসেছিল। কিন্তু পুলিশ কিছুই করল না। তাহলে আমার ছেলের ও আমার ভরণ পোষণ কে নেবে?। আমাকে ঠিক মতো দেখে না।তাই ভরণ পোষণ ও স্বামীর শাস্তির দাবিতে এই ধরনা বলে জানান।অপরদিকে ওই গৃহবধুর এক আত্মীয় আবেদা বিবি বলেন,জামাই চলে গেছে। তাই অনশন করছি। এখন পর্যন্ত বিচার কিছু হয়নি।জামাই ও ওই অভিযুক্ত গৃহবধূকে থানায় আটক করে নিয়ে আসার পরেও ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা চাচ্ছি মেয়েটির ভরণ পোষন দেয়া হোক।

আর্কাইভ