প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০৪:২৭ পিএম
বাংলাদেশেকে ভারতের ‘সবচেয়ে ভালো বন্ধু’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) এক প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লি ‘সবার আগে প্রতিবেশী’-নীতির আলোকে ভারতের সভাপতিত্বে আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই আমন্ত্রণ প্রমাণ করে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ভারতের সেরা বন্ধু।
এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ ভারতের নিকটবর্তী পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বন্ধুর প্রতি সম্মান এতে প্রতিফলিত হয়েছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে। কারণ ২০২৪ সালে উভয় দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সভ্যতা, সংস্কৃতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর উল্লেখ করে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দুই দেশ সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। সম্পর্কের উষ্ণতার ধারাবাহিকতায় চলতি বছর জি-২০ সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে ভারত অ-সদস্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর কনভেনশন অনুসরণ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশকেই অতিথির তালিকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
তবে বাংলাদেশ ছাড়াও এই শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশগুলো হলো- মিশর, মরিশাস, নাইজেরিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সিঙ্গাপুর, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত জি-২০ এর সভাপতিত্বের মাধ্যমে তার বৈশ্বিক এজেন্ডাকে বাস্তবে রূপ দিতে চাইছে। তাই তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ধারণার অনেকগুলোর বাস্তবে রূপান্তর করতে বাংলাদেশের সমর্থন প্রয়োজন। সহযোগিতার এসব ক্ষেত্র ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ‘সোনালী অধ্যায়কে’ আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।
এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিডের ধাক্কার পরও ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন ১৪ শতাংশ বেড়েছে। মোট লেনদেন ৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ১০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে দুই দেশই ‘কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’ সই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।