• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আম্বানি পরিবারকে দেশ-বিদেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম

আম্বানি পরিবারকে দেশ-বিদেশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের শিল্প পরিবার রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবারের সদস্যদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আম্বানি পরিবারকে দেশে-বিদেশে সর্বত্র ভারতের সর্বোচ্চ জেড প্লাস শ্রেণির নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারত কিংবা ভারতের বাইরে যেখানেই আম্বানি পরিবার এ জেড প্লাস শ্রেণির নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তার যাবতীয় ব্যয়ভার আম্বানি পরিবারকেই বহন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি এবং আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।  

আদালত জানিয়েছে, তারা দেখতে পেয়েছে যে, মুকেশ আম্বানি এবং তার পরিবারকে দেওয়া নিরাপত্তার দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিভিন্ন হাইকোর্টে বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আদালত ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে দেশ এবং বিদেশের সর্বত্র জেড প্লাস শ্রেণির নিরাপত্তা নির্দেশ দিয়েছে। একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারকেও। আরও স্পষ্ট করে বললে, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আম্বানি পরিবারের নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতের রায়ে বলা হয়, ‘উভয় পক্ষের বিজ্ঞ পরামর্শ শুনে আমরা বিবেচনা করছি যে, যদি কোনো নিরাপত্তা হুমকি থাকে তবে বাদীর (মুকেশ আম্বানি এবং তার পরিবার) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তা হবে বিবাদীদের নিজস্ব খরচে।’

আদালতের রায়ে আরও বলা হয়, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি কেবল একটি নির্দিষ্ট এলাকা বা থাকার জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। বাদীর (মুকেশ আম্বানি এবং তার পরিবার) দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরেও ব্যবসায়িক কার্যকলাপ রয়েছে। ফলে কেবল একটি এলাকা বা নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা দেয়া হলে তারা হতাশ হয়ে পড়বেন।’

প্রসঙ্গত, ভারতের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন শ্রেণির নিরাপত্তা দেয়া হয়ে থাকে। ব্যক্তির গুরুত্ব বুঝে তার বা তাদের জন্য বিভিন্ন শ্রেণির নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে জেড প্লাস শ্রেণি সর্বোচ্চ। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তির জন্য অন্তত ৫৫ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। ৫৫ জনের মধ্যে ১০ জনই ভারতের ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের কমান্ডো এবং বাকিরা পুলিশ সদস্য।

 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ