প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড বোহেমিয়ান হোটেল। শ্যারলোট শহরের এ হোটেলে পনব ঝাঁ ও ভিক্টোরিয়া ঝাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের রিসেপশন ছিল হোটেলের ১৬ তলায়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নবদম্পতি সেখানে যেতে লিফটে ওঠেন। তবে ওঠার পর লিফট অচল হলে আটকা পড়েন তাঁরা।
বিয়ের দিন ভীতিকর এ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে পণব বলেন, ‘লিফটে ওঠার পরে আমরা সম্ভবত পাঁচ ফুটের মতো ওঠার পরই লিফটটি থেমে যায়। আমরা আটকা পড়ি। এর কিছুক্ষণ পর লিফটের দরজা খুলে যায়। আমি সামনে ও পেছনে কংক্রিটের দেয়াল দেখতে পাই। আমার তখন মনে হতে থাকে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়।’
লিফটে অবশ্য শুধু বর-কনে ছিলেন না। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পরিবারের আরও চারজন সদস্য। এর মধ্যে একজন কনে ভিক্টোরিয়ার বোন। লিফটে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি থেমে যায়। আটকা পড়ার পর নবদম্পতির সঙ্গে থাকা অন্যরা সাহায্যের অপেক্ষায় থাকেন। এর মধ্যেই ছবি তুলে অন্যদের পাঠান তাঁরা।
এর মধ্যে বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত বর-কনের স্বজন ও পরিচিতজনদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। এরপর স্থানীয় অগ্নিনির্বাপণ বিভাগকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। শ্যারলোট অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর সদস্যদের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা লিফটে আটকে থাকার পর বর-কনেসহ ছয়জনকে লিফট থেকে উদ্ধার করা হয়।
কনে ভিক্টোরিয়া বলেন, ‘লিফটে সমস্যা ছিল। আমরা সবাই তাতে আটকা পড়ি। তবে অন্তত এটা হয়নি যে শুধু আমরা সেখানে আটকা পড়িনি, আরও কয়েকজন সেখানে ছিল। তাঁরা (অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের সদস্যরা) আমাকে কাজে লাগালেন। আমাকে ওপরে তুললেন। তাঁদের মধ্যে একজন আমাকে চারতলায় টেনে নিয়ে গেলেন।’
শ্যারলোট অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের একজন সদস্য ডেভিড বাড বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান চালানো ছিল খুবই কঠিন। পরিস্থিতি খুবই জটিল হওয়ায় প্রচলিত পদ্ধতিতে আমরা তাঁদের উদ্ধার করতে পারছিলাম না। তাই আমরা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করি।’
লিফটে দুই ঘণ্টা আটকে থাকার এই অভিজ্ঞতা ভীতিকর হলেও এই ঘটনা সারা জীবন মনে থাকবে বলে জানান বর পনব