প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
মা ও প্রেমিক মিলে খুন করল ৪ বছরের ছেলেকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী থানার কুন্দখালি গ্রামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনও সদুত্তর না মেলায় এলাকার লোকজন মিলে তাকে মারধর করে। এরপরেই ওই মহিলা জানায় তার প্রেমিক তাকে খুন করেছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। অন্যদিকে, শিশুর মাকে আটক করা হয়েছে। মহিলার প্রেমিক পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা তোয়েব আলির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মাফুজা পিয়াদার। এদিকে, রুটি রুজির তাগিদে কলকাতায় কাজ করতেন তোয়েব আলি। সেই ফাঁকে কুলতলির গাজিরহাটের আবুল হোসেন শেখের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েন মাফুজা পিয়াদা। মাঝেমধ্যেই স্বামী কাজে বেরিয়ে গেলে আবুল হোসেন বাড়িতে আসত বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালেও তোয়েব আলি বাড়িতে না থাকায় ওই যুবক তার বাড়িতে যায়। এদিন দুপুরে দুজন সিদ্ধান্ত নেয় অন্যত্র গিয়ে বিয়ে করবেন। কিন্তু, তাদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বছর চারেকের ছোট ছেলে। মাকে ছাড়া শিশুটি থাকতে পারত না। কিন্তু, মহিলার প্রেমিকও শিশুটির দায়িত্ব নিতে চায়নি। তাই তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রতিবেশী যুবক আবু সিদ্দিকি পেয়াদা বলেন, সন্ধ্যায় তারা খবর পান একটি শিশু মারা গিয়েছে। তারপরেই সেখানে গিয়ে দেখেন শিশুটির গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিছু না বলায় তাকে মারধর শুরু করে এলাকার মানুষজন। এরপরেই তার মা জানায়, তার প্রেমিক শিশুটিকে খুন করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয়, কুলতলি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি তার মাকে আটক করে নিয়ে যায়। মোর সেলিম মোল্লা নামে স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ‘আমরা ওই বাড়িতে ঝামেলার খবর পেয়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি শিশুটির হাত পা ভাঙা। তখন তার মাকে জিজ্ঞাসা করতেই সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। প্রথমে তার মা ওই যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে চায়নি। পরে চাপ দিতে পুরো কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশের খবর দিই। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি মহিলাকে আটক করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।’