প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন ব্যাপক হারে বেড়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর আবেদন বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। ইইউর শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার তথ্য বলছে, ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড, নরওয়েসহ ইউরোপের দেশগুলোতে আশ্রয় পেতে আবেদন করেছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
করোনা মহামারির নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয় পেতে আবেদনের হিড়িক পড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ)-এর বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর আবেদনের হার প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে শরণার্থী ঢলের পর এবারই সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শরণার্থীবিষয়ক এ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে সুইজারল্যান্ড, নরওয়েসহ ইইউর দেশগুলোতে আশ্রয় পেতে আবেদন করেছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। যাদের মধ্যে সিরীয় ও আফগান নাগরিক সবচেয়ে বেশি। রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় দেশ দুটি থেকে এক-চতুর্থাংশ আবেদন জমা পড়েছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিলেও তারা এই হিসাবের মধ্যে নেই। কারণ তারা ইইউর সাময়িক সুরক্ষা নীতির আওতায় আশ্রয় পেয়েছেন। নিবন্ধিত হওয়ার পর বিধি অনুযায়ী সুরক্ষা পাচ্ছেন তারা।
পশ্চিমা পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্য মতে, ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় ইইউর সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে সুরক্ষা মর্যাদা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।
২০২২ সালে ৯ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং ইইউর ২৭ সদস্যরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৫১ হাজার ৮১৫ জন আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন।