কিয়েভে পৌঁছার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আলিঙ্গন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের ইউক্রেন সফর এখন ‘টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। তিনি স্থানীয় সময় সোমবার সকালে খুব গোপনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন। তাঁর সফর নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার গভীর রাতে ওয়াশিংটনের বাইরে একটি সামরিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেন বাইডেন। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বোয়িং ৭৫৭ নামের একটি বিশেষ উড়োজাহাজটি আনুমানিক ভোর ৪টায় উড্ডয়ন শুরু করে। ৮০ বছর বয়সী বাইডেনের সফরসঙ্গী ছিলেন কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী, একটি ছোট মেডিকেল টিম, বাইডেনের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং দুজন সাংবাদিক।
এএফপি আরও জানিয়েছে, সেটি ছিল একটি ছোট উড়োজাহাজ। সাধারণত মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় এটি ব্যবহার করেন। উড়োজাহাজটি নির্ধারিত জায়গা থেকে বেশ দূরে পার্ক করা ছিল এবং এর প্রতিটি জানালা ছিল বন্ধ।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক সাবরিনা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে তাঁকে ও একজন ফটোগ্রাফারকে ওই নির্ধারিত বিমানবন্দরে থাকতে বলা হয়েছিল। উড়োজাহাজটি যাত্রা শুরু করার পর তাঁদের কাছ থেকে মুঠোফোন নিয়ে নেয়া হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা যখন কিয়েভে পৌঁছান, তখন মুঠোফোন ফেরত দেয়া হয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজটি প্রায় সাত ঘণ্টা পর ওয়াশিংটন থেকে জার্মানির রামস্টেইনে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছার পরেও উড়োজাহাজটির জানালা খোলা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পরের ফ্লাইট ছিল পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে। তিনি ও তাঁর সফর সঙ্গীরা অপর একটি উড়োজাহাজে চড়ে পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরে গিয়ে অবতরণ করেন। এরপর তাঁরা পোল্যান্ডের রেল স্টেশন প্রজেমিসল গ্লোনির দিকে যান। স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে একটি ট্রেন বাইডেন ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সাবরিনা সিদ্দিকী বলেছেন, ট্রেনটিতে আটটি বগি ছিল। কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে আমাদের ট্রেনে ওঠানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রেন ভ্রমণ পছন্দ করেন। তিনি যখন সিনেটর ছিলেন তখন ডেলাওয়্যার থেকে ওয়াশিংটনে ট্রেনে যাতায়াত করতেন। প্রায় ১০ ঘণ্টা যাত্রা শেষে ট্রেনটি সোমবার সকালে কিয়েভে পৌঁছায়।
জো বাইডেন শেষবার ইউক্রেন সফর করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
আরিয়ানএস/এএল
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন