আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ ভোক্তা চীন। দীর্ঘদিন ‘জিরো কোভিড’ নীতি মেনে চলা দেশটিতে বর্তমানে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়ছে। এতে বিশ্ববাজারে বাড়ছে তেলের দাম।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। এমন আশায় বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববাজারে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম।
এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৪২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৫ দশমিক ৮০ ডলারের পৌঁছেছে। এদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৪৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক শূন্য ৭ ডলার হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অপরিশোধিত তেলের দৈনিক চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ২ মিলিয়ন ব্যারেলে। যেখানে গত মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল যে দৈনিক চাহিদা ১০১ দশমিক ৯ মিলিয়ন ব্যারেলে উঠে যাবে। সেই হিসাবে দৈনিক চাহিদা আরও ১ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। এর মধ্যে চীনেই চাহিদা বেড়েছে ৯ লাখ ব্যারেলের।
প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটি জানিয়েছে, চীন তাদের ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে এসেছে। এতে ২০২৩ সালে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা যে পরিমাণ বাড়বে তার প্রায় অর্ধেকই চীনের।
জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ভানদা ইনসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ভান্দানা হরি বলেন, চীনের ক্ষেত্রে ওপেক ও আইইএ এর আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি তেলের দামে প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মার্কিন অপরিশোধিত তেলের মজুত ১৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়ে ৪৭১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছেছে, যা ২০২১ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ।
বাজার বিশেষজ্ঞ সুগন্ধা সচদেবা বলেন, ‘তেলের দাম একটি সংকীর্ণ পরিসরে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ এটি চাহিদা ও জোগানের এক ভিন্ন গতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।’
এনএমএম/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন