• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফের খুলছে প্যারিসের গির্জা নটর ডেম ক্যাথেড্রাল

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম

ফের খুলছে প্যারিসের গির্জা নটর ডেম ক্যাথেড্রাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্যারিসের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী গির্জা ‘নটর ডেম ক্যাথেড্রাল’ পুনঃসংস্কার শেষে খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে পুড়ে গিয়েছিল গির্জাটি। এটি খুলে দেয়ার ফলে আবারও গির্জা ঘিরে পর্যটক উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যেও চাঙাভাব ফিরবে বলেও বিশ্বাস তাদের।
২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল প্যারিসের উজ্জ্বল আকাশ আর স্নিগ্ধ পরিবেশ আচমকাই এক গুমোট পরিবেশে রূপ নেয়। সেদিন হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন, নটর ডেম ক্যাথেড্রাল ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা হতবাক করে দেয় গোটা জাতিকে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে যে কোনো মূল্যে এটি পুনঃসংস্কারের মাধ্যমে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পর ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানায়, স্থাপনাটির পুনঃসংস্কারের কাজ দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ২০২৪ সালের শেষনাগাদ এটি পুনরায় খুলে দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। ঐতিহ্যবাহী গির্জাটি আবারও চালু হলে পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেও চাঙাভাব ফিরবে বলে মনে করেন অনেকে।
স্থানীয় একজন বলেন, নটরডেম শুধু মন্দির নয়, এটা একটা আবেগের নাম। এটা উদ্বোধন হলে এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হবে। এটা ব্যবসায়ীদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হবে। এটা শুধু ফরাসি সাহিত্য বা সংস্কৃতির জন্য নয়, এটা এখানকার অর্থনীতির জন্য একটি বড় ঘটনা।
আরেকজন বলেন, ‘আসলে অনেক বেশি আনন্দিত; কেননা এটি আমি আগেও দেখেছি। অপেক্ষায় আছি, এটি পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পর দেখতে কেমন লাগবে।’
কর্তৃপক্ষ জানায়, গির্জাটির অভ্যন্তরের বেশির ভাগ কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগুন থেকে যা রক্ষা করা হয়েছিল তা আবারও প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। আর সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে এর চূড়া ১০০ মিটার উঁচুতে স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া গির্জার মূল কাঠামোর জন্য ৫০০ টন ওক কাঠ এবং কভার ও অলংকারের জন্য ২৫০ টন সীসা ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।


১২০০ শতকের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নটর ডেম ক্যাথেড্রোল দেখতে প্রতি বছর ভিড় করেন প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ দেশি বিদেশি পর্যটক।

 

 

 

এনএমএম/

 

আর্কাইভ