প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম
গত দুই দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পাঁচদিনেরও বেশি সময় পর তুরস্কে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ১২২ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা ওই দুই নারীকে শনিবার তুরস্কের উদ্ধারকারীরা জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।
সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ১৫০ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে উভয় দেশ। তবে উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে তুরস্কে ক্ষোভ তৈরি হওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা উচিত ছিল।
অন্য নারীর নাম মাসাল্লাহ সিসেক। ৫৫ বছর বয়সী এই নারীকে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শহর দিয়ারবাকির একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ৬৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলো থেকে তুরস্কে মোট ৩১ হাজার জন উদ্ধার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ভূমিকম্পে আহত আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।
ফুয়াত ওকতে বলেছেন, এক বছরের মধ্যে এসব গৃহহীন মানুষের স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভূমিকম্পের ক্ষত ভুলে যান।
গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে শতাধিক আফটারশক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
কয়েক দশকের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে উদ্ধারে ব্যাপক প্রচেষ্টা চললেও এখনও অনেকের কাছে পৌঁছানোই সম্ভব হয়নি।
সাজেদ/