• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ১৯ হাজার ৮০০

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৬:৪১ এএম

ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ১৯ হাজার ৮০০

তুরস্কের হাতায় প্রদেশে ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৮০০ জন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, তুরস্কে ১৬ হাজার ৫৪৬ জন মারা গেছেন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজারের বেশি মারা গেছেন।

তবে সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এই ভূমিকম্পে তুরস্কে ৬০ হাজারের বেশি এবং সিরিয়ায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এছাড়াও ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে ঠাণ্ডা, ক্ষুধা ও হতাশার মধ্যে সময় পার করছেন ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ।

তুরস্কের হাতায় শহরে একটি ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকার ৭৯ ঘণ্টা পর দুই বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ধ্বংসস্তূপে আরও অনেককে জীবিত পাওয়া যেতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছে।

এর আগে ১৯৯৯ সালে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল।

তুরস্কের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এবারের ভুমিকম্প আগামী মে মাসের নির্বাচনকে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার দুই দশকের ক্ষমতার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে  জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা তুরস্ক থেকে প্রথমবারের মতো উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে

ভূমিকম্পের পর সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে ইদলিব প্রদেশে এসেছেন চার সন্তানের মা মুনিরা মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‍‍`এখানে সব শিশু। আমাদের শীত নিবারণ দরকার, খাদ্য সরবরাহ দরকার। গত রাতে ঠাণ্ডায় আমরা ঘুমাতে পারিনি।‍‍`

এ ভূমিকম্পে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সুপারমার্কেটের কার পার্কিং, মসজিদ, রাস্তার ধারে বা ধ্বংসস্তূপের আশেপাশে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীরা খাবার, পানি ও গরম কাপড়ের অভাবে আছেন।

 

আরিয়ানএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ