• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

আয়কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কায় প্রবল বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৩:২৮ পিএম

আয়কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রীলঙ্কায় প্রবল বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আয়কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন দেশটির ৪০টি ট্রেড ইউনিয়নের কয়েক হাজার শ্রমিক। এ সময় অন্যায্য আয়কর কমানোর দাবি জানান তারা।
এক নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভগ্নদশায় থাকা সরকারি অর্থায়ন পরিস্থিতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। সংস্কারের অংশ হিসেবে কর বাড়ানো হয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় আইনপ্রণেতার সহায়তা চেয়েবুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।
বক্তব্যে চলতি বছরের শেষ দিকেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। ২০২৬ সালের মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি দেউলিয়া তকমা কাটিয়ে উঠবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারত, জাপানসহ অন্যান্য ঋণদাতারাও এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান বিক্রমাসিংহে।
এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয় সময় সকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাজপথে জড়ো হতে শুরু করেন ৪০টি ট্রেড ইউনিয়নের কয়েক হাজার শ্রমিক। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকরা অংশ নেন। এছাড়া কর নীতির বিরুদ্ধে কলম্বোয় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরাও। 
বিক্রমাসিংহের নতুন আয়কর নির্ধারণকে অন্যায্য বলে দাবি জানান অনেকে। হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সরকারের বর্ধিত আয়করের তীব্র প্রতিবাদ জানান শ্রমিকরা। 
২০১৯ সালের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে জনতুষ্টিমূলক কর কর্তনের পদক্ষেপ নেন। এরপর করোনা মহামারির জেরে ধাক্কা লাগে দেশটির অর্থনীতিতে। কমে যায় সরকারের রাজস্ব। মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় উচ্চাভিলাষী অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নে নেয়া বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে হিমশিম খেতে থাকে শ্রীলঙ্কা।


একপর্যায়ে লাগামহীন মুদ্যাস্ফীতি, খাদ্য ও জ্বালানি তেলের তীব্র সংকটের কারণে রাজপথে নামেন সাধারণ মানুষ। পতন হয় সরকারের। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন বিক্রমাসিংহে।

 

 

এনএমএম/

 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ