প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ১২:০৮ এএম
আঙ্কারা থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক সরোয়ার আলম জানান, ভূমিকম্পের পরপরই তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। তুরস্কে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন।
এদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক মরদেহ। আবার কাউকে জীবিতও উদ্ধার করা হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম অবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আজাজ শহরের পাশাপাশি তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। আজমারিন শহরও বাদ যায়নি ভূমিকম্পের আঘাত থেকে। শক্তিশালী ভূমিকম্পে ভবনের পর ভবন এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনিতেই যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর, তার ওপর এই ভূমিকম্প মড়ার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের মতো শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের সহায়তায় অব্যাহত রয়েছে উদ্ধার অভিযান।
সিরিয়ার মতো তুরস্কের আদিয়ামান শহরের বেশকিছু বহুতল ভবনও মাটিতে গুঁড়িয়ে গেছে। সেখানেও চলছে উদ্ধার অভিযান। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকেপড়াদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এরই মধ্যে উদ্ধারকাজে ভারী যন্ত্রপাতি ও উদ্ধারকারী সরঞ্জামও মোতায়েন করা হয়েছে।
তুরস্কের দিয়ারবাকিরে মরদেহের পাশাপাশি আটকে পড়াদের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি স্থানে উদ্ধার অভিযানের সময়ও আফটার শক অনুভূত হয়। এতে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। তুরস্ক ও সিরিয়ার ইতিহাসে এমন ভয়াবহতার সাক্ষী খুব কমই হয়েছেন স্থানীয়রা।