• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

তুরস্কে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৯:৩৭ পিএম

তুরস্কে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তুরস্কে একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে, ‘জমিনই নিয়তি’। এই প্রবাদ থেকেই স্পষ্ট, তুর্কিরা ভূমিকম্পের সঙ্গে কতটা পরিচিত। তুরস্কে ঘনঘন ভূমিকম্পের মূল কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান। দেশটি মূলত বেশ কয়েকটি টেকটোনিক প্লেটের, যা ভূমিকম্পের জন্য দায়ী, ওপর অবস্থিত।

২০২০ সালে আঘাত হানা ভূমিকম্পে নিহত একজনকে সমাহিত করা হচ্ছে। ছবি: এপি

দেশটির মূল অবস্থান আনাতোলিয়ান টেকটোনিক প্লেটের ওপর। তবে এর বাইরে দেশটি আরও দুটি মহাদেশীয় টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান করছে। সেই প্লেট দুটি হলো ইউরেশিয়ান ও আফ্রিকান টেকটোনিক প্লেট। এ ছাড়া আরও একটি প্লেট এ অংশে এসে সংযুক্ত হয়েছে। সেটি হলো অ্যারাবিয়ান প্লেট। ফলে এসব প্লেটের কোনো একটির সামান্য নড়াচড়ার অর্থই হলো ভূমিকম্প ‍সৃষ্টি হওয়া।


তুরস্কের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পটি ঘটে গেছে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পটি এতটাই তীব্র যে, তা সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস এমনকি মিশরেও অনুভূত হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। চলুন দেখে নেয়া যাক, দেশটির নিকট ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলোর ইতিহাস। 

অক্টোবর, ২০২০
এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের নিকটবর্তী গ্রিক দ্বীপ সামোস। এতে দেশটির ২৪ জন নাগরিক নিহত হন। 

জানুয়ারি, ২০২০
৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে পূর্ব তুরস্কে, যা প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়ায়ও অনুভূত হয়। এতে নিহত হন ২২ জন।

অক্টোবর, ২০১১
এই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে পূর্ব তুরস্ক। দেশটির ভ্যান প্রদেশে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে ১৩৮ জন নিহত এবং ৩৫০ জন আহত হন। ভূমিকম্পের তীব্রতা প্রতিবেশী দেশ ইরাকও অনুভূত হয়।

মার্চ, ২০১০  
৬ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প পূর্ব তুরস্কের একটি গ্রামে আঘাত হানে। এতে ৫১ জন নিহত হন।গ্রামটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং অন্য চারটি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথম ভূমিকম্পের পরপরই ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।


আগস্ট, ১৯৯৯
৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে দেশটির অন্তত ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী ইস্তাম্বুলেও অন্তত ১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ