• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শত শত বছরের রীতি, বিয়ে না হলে মাখানো হয় দারুচিনির গুঁড়া

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০২:১৩ এএম

শত শত বছরের রীতি, বিয়ে না হলে মাখানো হয় দারুচিনির গুঁড়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিয়ের নিয়ম-কানুনের ব্যাপারে একেক দেশে একেক রীতি। এক দেশের নিয়মের সঙ্গে অন্য দেশের নিয়মের কোনো মিল নেই। আবার কিছু কিছু দেশ আছে যাদের বিয়ের রীতিনীতি একেবারেই অদ্ভুত! বয়স ২৫ পার হয়েছে। অথচ এখনও বিয়ে হয়নি। এমন ব্যক্তিদের জন্য ডেনমার্কে অদ্ভুত এক প্রথা চালু রয়েছে।

২৫ তম জন্মদিনে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরা তার সারা গায়ে দারুচিনির গুঁড়া মাখিয়ে দেন। এই গুঁড়ার সঙ্গে জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাখানো হয় অবিবাহিতদের গায়ে। সামাজিকভাবেই অবিবাহিতদের গায়ে এমন দারুচিনি মাখানোর রীতি এখানে চালু রয়েছে বহু বছর ধরে। এটা করতে কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না। বরং এ রীতির মাধ্যমে অবিবাহিত ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দেয়া হয়, এবার তোমার বিয়ের বয়স হয়েছে।

কথিত আছে, এমন প্রথার শুরুটা হয়েছিল কয়েকশ‍‍` বছর আগে। মশলা বিক্রির জন্য যে সব বিক্রেতা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন তাদের পক্ষে ঘর- সংসার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত। ব্যবসার কারণে এক জায়গায় তারা স্থায়ী হতে পারতেন না। এ কারণে বেশিরভাগ মসলা বিক্রেতা জীবনসঙ্গীও খুঁজে পেতেন না। এমন অবিবাহিত সেলসম্যানদের পেপার ডুডস বলা হত। আর অবিবাহিত নারীদের পেপার মেইডেন বলা হত।

পেপার ডুডস বা পেপার মেইডেনদের পথে যাতে ডেনমার্কের তরুণ প্রজন্ম না হাঁটেন, সে জন্য এই প্রথা এখনও মানা হয়। যে সব অবিবাহিতের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, অথচ বিয়ে করেননি, তাদের গায়ে দারুচিনির গুঁড়া মাখানো হয়।

অবিবাহিতদের বয়স তিরিশের কোঠা পার হলে শুধু দারুচিনি নয়, মরিচের গুঁড়াও মাখানো হয় তাদের শরীরে। কখনো কখনো সঙ্গে ডিমও মেশানো হয়। তবে বিয়ের জন্য এমন প্রথা চালু থাকলেও ডেনমার্কে কিন্তু বর্তমানে একজন নারীর বিয়ের গড় বয়স ৩২, আর পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৪ বছর। ২৫ বছর বয়সের আগে এই যে শাস্তি দেওয়ার যে রীতি সেটা আসলে সিরিয়াস কোনো ব্যাপার নয়, বরং মজা করার জন্যই করা হয়। সেই সঙ্গে যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয় তোমার বিয়ের বয়স হয়েছে।

আর্কাইভ