প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০১:৫৫ এএম
জীবনসঙ্গী হিসাবে সমবয়সি বা নিজের বয়সের ধারকাছে কোনো পুরুষকে না পছন্দ মিসিসিপির বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সি মিরাকেল পোগের। জীবনে যত বারই প্রেম এসেছে, তাদের সবার বয়সই ছিল তার দ্বিগুণের বেশি। তবে বিভিন্ন কারণে সে প্রেম অতীত হয়ে গিয়েছে। তবে সম্প্রতি মিরাকেল সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ৮৫ বছর বয়সি চার্লসের সঙ্গে।
২০১৯ সালে কাজের সূত্রে চার্লসের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারপর বন্ধুত্ব, আস্তে আস্তে শুরু হয় মন দেওয়া-নেয়া। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেম প্রস্তাব দেন মিরাকেলকে। অত্যন্ত খুশি হয়েই সে প্রস্তাব গ্রহণ করেন তিনি। তারপর থেকেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
তখনই বিয়ে করার ইচ্ছে থাকলেও পারিবারিক কিছু জটিলতার কারণে তা হয়ে ওঠেনি। মিরাকেলের বাবা-মা চাননি ৬২ বছরের বড় এক জনের সঙ্গে তাদের একমাত্র সন্তান বাকি জীবনটা কাটাক। চার্লস মিরাকেলের দাদুর থেকেও বয়সে কিছুটা বড়। কিন্তু কোনো বাধা মিরাকেল আর চার্লসকে আলাদা করতে পারেনি। দুই বছর একসঙ্গে থাকার পর সম্প্রতি আইনিমতে বিয়ে সারলেন তারা।
বাবা মায়ের আপত্তি থাকলেও মিরাকেলের ৭২ বছর বয়সি ঠাকুরদার পূর্ণ সম্মতি ছিল এই বিয়েতে। তিনিই দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছেন। মিরাকেল বলেন,‘চার্লসের বয়স ১০০ হোক বা ৫৫, আমার কিছু যায় আসে না। আমি চার্লসকে ভালবাসি। ওঁর সঙ্গে সারা জীবন থাকতে চাই। মানসিক ভাবে তো বটেই, চার্লস শারীরিক ভাবেও যথেষ্ট চাঙ্গা। আমরা মা-বাবা হওয়ার পরিকল্পনাও করছি।’
চার্লসের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। তিনি আর সে সব দেখাশোনা করেন না। চার্লসের কথায়, ‘আমি এই মুহূর্তে জীবনের সবচেয়ে ভাল সময় কাটাচ্ছি। মিরাকেল আমার জীবনে সৌভাগ্য হয়ে এসেছে। ও ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।’