• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইরাকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০৩:৫৫ এএম

ইরাকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা হয়েছে। বুধবার ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চল ও তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই রকেট হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াগোষ্ঠী ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স আহরার আল-ইরাক ব্রিগেড বুধবার এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। ইরানের আধাসামরিক বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ওই গোষ্ঠীর।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে তুরস্কের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় রকেট হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি তুর্কি ওই কর্মকর্তা।

কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিনভেহ প্রদেশে তুরস্কের জিলকান সামরিক ঘাঁটি এলাকায় অন্তত আটটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। কেআরজি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত এই ঘাঁটিতেই আঘাত করেছে দুটি রকেট।

তবে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেছেন, ঘাঁটিটি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে। হামলার জবাবে পাল্টা গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর ইরাকে তুর্কি সৈন্যরা দৃঢ়তার সাথে যুদ্ধ করছে।


গত বছরের এপ্রিলে ইরাকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিরুদ্ধে সর্বশেষ সামরিক অভিযান শুরু করেছিল তুরস্ক। পিকেকের সদস্যরা ১৯৮৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে সশস্ত্র এক বিদ্রোহ শুরু করে। সেই সময় ব্যাপক সহিংসতা ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন।

উত্তর ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে প্রশিক্ষণ ঘাঁটি এবং সামরিক স্থাপনা রয়েছে পিকেকের। তুর্কি সেনারা প্রায়ই পিকেকের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা পরিচালনা করে। তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে।

আর ইরাকের সরকার প্রায়ই দেশটিতে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতির নিন্দা জানায়। পাশাপাশি দেশটিতে তুর্কি সৈন্যদের উপস্থিতিকে অবৈধ অভিহিত করে দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাগদাদ।

সূত্র: আলজাজিরা, আনাদোলু।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ