প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৩:১১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের মারধরে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ টায়ার নিকোলোসের মৃত্যুতে জড়িত থাকার অভিযোগে পুরো একটি ইউনিটকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে মেম্ফিস পুলিশের বিশেষ ওই ইউনিটটি শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে, মেম্ফিস পুলিশের বিশেষ ওই ইউনিটটির নাম স্করপিয়ন। কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিকোলাস টায়ারের মৃত্যুর পর তার পরিবার, প্রতিবেশি এবং তার এলাকার লোকদের সঙ্গে কথা বলার পরপরই ইউনিটটি বন্ধ বলে ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় পুলিশ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিকোলাস টায়ারের পরিবার, প্রতিবেশী এবং তার এলাকার লোকদের সঙ্গে পুলিশ প্রধান কথা বলার পরপরই স্করপিয়ন ইউনিটটি চিরতরে বন্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মেম্ফিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ টায়ার নিকোলসকে গ্রেফতারের সময়ের বডি ক্যাম ফুটেজ প্রকাশ করেছে পুলিশ। প্রকাশিত বডি ক্যাম ফুটেজে পুলিশের নির্যাতন ও নৃশংসতার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে।
৩ মিনিটের ওই ফুটেজটিতে দেখা যায়, নিকোলসকে রাস্তায় ফেলে মারধর করছেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় বারবার আকুতি জানালেও পুলিশ তা আমলে না নিয়ে ক্রমাগত তাকে নির্যাতন করতে থাকে। পুলিশের এমন বর্বরতায় হতবাক সাধারণ মানুষ।
২৯ বছর বয়সী নিকোলসকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে আটক করে পুলিশ। কিছুক্ষণ কথা বলার পর ভয়ে তিনি দৌড় দিলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে বর্বর নির্যাতন চালায়। তার মুখে একাধিক লাথি, ঘুষি মারেন তারা।
মেম্ফিস পুলিশের পক্ষ থেকে ৪টি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। প্রথম ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ নিকোলসকে গাড়ি থেকে বের করে মাটিতে শুয়ে পড়তে বলছে। এ সময় নিকোলস বলেন, আমি কিছু করিনি, তখনই এক অফিসার গালি দিয়ে বলেন, মাটিতে শুয়ে পড়।
এনএমএম/এএল