• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে চীন ও ভারত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৪:০২ এএম

সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে চীন ও ভারত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আবারও সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে ভারত-চীন। লাদাখ সীমান্তে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেনা পরিকাঠামো বাড়াতে পারে চীন; এমনটাই শঙ্কা ভারতের। আর এতে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে বলে মনে করছে খোদ লাদাখ পুলিশ কর্তৃপক্ষ। লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়ন নিয়ে অঞ্চলটির শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের এক বার্ষিক সম্মেলনের পর এক গবেষণাপত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে।
লাদাখ নিয়ে ভারত-চীন বিরোধ দীর্ঘদিনের। ২০২০ সালের জুনে দুই দেশের নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে। ওই ঘটনায় ভারতের ২৪ সেনা নিহত হন। এরপর দফায় দফায় সামরিক এবং কূটনৈতিক আলোচনায়ও কোনো সুরাহা হয়নি। উল্টো এশিয়ার দুই প্রভাবশালী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।  

A history of Sino-Indian feuds: Times when China had to back down - The  Economic Times

গেল ডিসেম্বরে হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে দুই দেশের সৈন্যদের মাঝে নতুন করে সংঘর্ষের পর উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবামাধ্যম বলছে, লাদাখ সীমান্তের কাছে সেনাসদস্য বৃদ্ধি করছে চীন, এমন খবর পেয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ।  

লাদাখ সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়ন নিয়ে অঞ্চলটির শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের এক বার্ষিক সম্মেলনের পর গবেষণাপত্রে তথ্য উঠে এসেছে, ২০২০ সালের তুলনায় এবার আরও বেশি প্রস্তুতি নিচ্ছে চীনের সেনারা। সীমান্তে সেনা পরিকাঠামো উন্নত করার দিকে জোর দিচ্ছে দেশটি। অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রাখবে।  

অরুণাচলের তাওয়াংয়ে চিনকে মোক্ষম জবাব ভারতীয় সেনার, কেন নজরে এই এলাকা -  Banglaxp

বিতর্কিত লাদাখ সীমান্ত এলাকায় বেইজিং সামরিক স্থাপনা গড়ে তোলায় সেখানে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাঝে আরও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে পুলিশ বিভাগ সংঘর্ষের আশঙ্কার কথা জানালেও, এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি ভারতীয় সেনাবাহিনী। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ