প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
৮৫ বছর সম্প্রচারের পর অবশেষে বন্ধ হয়ে গেল বিবিসি আরবি’র রেডিও সম্প্রচার। বিবিসি আরবি’র সর্বশেষ সম্প্রচার শোনার সময় আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। এভাবেই নিজের দুঃখ ভারাক্রান্ত অনুভূতির কথা টুইটারে জানিয়েছেন বৃটিশ সাংবাদিক জিম মুইর।
বিবিসি নিউজের এই মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক করেসপন্ডেন্ট বলেন, এই সম্প্রচার বন্ধের মধ্য দিয়ে একটি যুগের সমাপ্তি হলো।
আরব নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে বিবিসি আরবি’র রেডিও সম্প্রচার অফ এয়ারে চলে যায়। এর মাধ্যমে তার ৮৫ বছরের রেডিও সম্প্রচারের সমাপ্তি ঘটছে। বিবিসি আরবি ছিল বিবিসি এম্পায়ার সার্ভিসের প্রথম কোনো বিদেশি ভাষায় রেডিও সম্প্রচার। ১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি এটি প্রথমবারের মতো প্রচারিত হয়েছিল। এই মাসের শুরুতেই আরবিভাষী নেটওয়ার্কটি এক ঘোষণায় জানিয়েছিল, বন্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এটি ধীরে ধীরে তার পরিষেবা হ্রাস করবে। টুইটারে অসংখ্য সাংবাদিক এবং তারকারা এ নিয়ে দুঃখ জানিয়েছেন। অনেকেই আবার বিবিসি আরবির রেডিও স্টেশনে তাদের সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, রেডিও সেবা বন্ধ করার মধ্য দিয়ে বৃটেন তার সফট পাওয়ার হারাচ্ছে।
এর আগে দীর্ঘ ৮১ বছর চলার পর বন্ধ হয় বিবিসি বাংলার রেডিও সম্প্রচারও। তবে বিবিসি বাংলা এবং বিবিসি আরবির অনলাইন সেবা চালু থাকবে।
টুইটারে বিবিসি আরবির করেসপন্ডেন্ট স্যালি নাবিল লিখেছেন, এটি দুঃখ ও বেদনার অনুভূতির থেকেও বেশি কিছু। আমার কেমন অনুভব হচ্ছে তা ভাষায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘে লেবাননের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি আমাল মুদালালি বলেন, বিবিসি আরবির সঙ্গে কাজ করা একজন হয়ে আমি বুঝতে পারি যে তারা কেনো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অঞ্চলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ বৃটেনের এই একটি বিষয়কেই চিনেছে।
বিবিসি আরবির রেডিও সম্প্রচারের সর্বশেষ উপস্থাপক ছিলেন মাহমুদ আল-মুসালামি। তার সর্বশেষ কথা ছিল, ‘হুনা লন্ডন’ বা দিস ইজ লন্ডন। অনেকেরই চোখে পানি এনেছে এই মুহূর্তটি। মাহমুদের মেয়ে ওশা লিখেছেন, আমি আমার পিতার উপস্থাপনা শুনে বড় হয়েছি। আর আজ তিনি বিবিসি আরবির সর্বশেষ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। এটা একটি যুগের সমাপ্তি।
এনএমএম/এএল