• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিয়ানমারে তিনদিনে জান্তা বাহিনীর ৫০ সদস্য নিহত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০১:৪৮ এএম

মিয়ানমারে তিনদিনে জান্তা বাহিনীর ৫০ সদস্য নিহত

জান্তা বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে গত তিনদিনে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জান্তা বাহিনীর ৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমারে তিনদিনে জান্তা বাহিনীর ৫০ সদস্য নিহত
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মিয়নমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি নিউজ জানায়, মিয়ানমারে সাগাইং, ম্যাগওয়ে এবং বাগো অঞ্চলে এবং চিন, কায়াহ এবং মোন রাজ্যে বিদ্রোহীদের হামলায় জান্তা বাহিনীর এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল আর্মি দাবি করেছে, গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) কায়াহ রাজ্যের বাওলাখে টাউনশিপের একটি পাহাড়ে সামরিক ফাঁড়ি দখল ও পুড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। এ সময় জান্তা বাহিনীর ৫ সদস্য নিহত হয়েছে। সামরিক ফাঁড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জব্দ করার দাবি করেছে তারা।

এছাড়া, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) দাবি করেছে, শুক্র ও শনিবার মাগওয়ে অঞ্চলের পাকোক্কু এবং পাউক টাউনশিপে দুইদিনের হামলায় জান্তা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য নিহত হয়েছে। রোববার পিডিএফ গোষ্ঠীর আরেকটি গ্রুপ ম্যাগওয়ে অঞ্চলের পাউক টাউনশিপের দুটি সামরিক চেকপয়েন্টে হামলা চালায়।


এতে জান্তা বাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হয়েছে বলে দাবি করে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স। এছাড়া পাউক অঞ্চলের ওহনটাও গ্রামের একটি স্কুলে অবস্থানরত জান্তা বাহিনীর ওপর ড্রোন ব্যবহার করে বোমা ফেলে বিদ্রোহীরা। এতে জান্তা বাহিনীর ৫ সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। এদিকে জান্তা বাহিনীর হামলায় দেশটির চারজন বেসামরিক নাগরিক ও ৩ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।

মিয়ানমারে অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে সহিংস দমননীতি গ্রহণ করে জান্তা সরকার।

এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কয়েক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী। এই সহিংসতার জেরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে গঠন করে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। এরপর থেকেই জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত তারা।

সাজেদ/ 

আর্কাইভ