• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৪ মে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৫:৫১ পিএম

তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৪ মে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগামী ১৪ মে তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গত শনিবার উত্তরপশ্চিম তুরস্কের বুরসায় একটি যুব সম্মেলনে এরদোয়ান এই ঘোষণা দেন। আর সেই ঘোষণার  ভিডিও রোববার প্রকাশ করা হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ‘নির্বাচন হবে ১৪ মে। আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, তার পূর্বনির্দিষ্ট পথে আমরা হাঁটছি। আমাদের যে যুবরা এবার ভোটাধিকার পেয়েছেন, তাদের জানিয়ে দিতে চাই, নির্বাচন হবে ১৪ মে। তখন তারা ভোট দিতে পারবেন।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। এরপর তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে।

যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তাহলে ২৮ মে দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ হবে।

২০০৩ সাল থেকে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এবার তার সামনে ক্ষমতায় থাকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য, ওই অঞ্চলে বড় সামরিক শক্তি এবং সেই সঙ্গে ক্রমশ বড় অর্থনৈতিক শক্তিও হয়ে উঠতে চলেছে দেশটি।

ছয় দলের বিরোধী জোট এখনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নাম জানায়নি। এ ছাড়া কুর্দিদের প্রতি সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক দল জানিয়েছে, তারা আলাদা করে প্রার্থী দেবে।

বিরোধী দলগুলোর দাবি, সম্প্রতি তুরস্কের অর্থনীতিতে যে প্রবল চাপ এসেছে তা এরদোয়ানের নীতির জন্য। তার আমলে নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা বলতে আর কিছু তুরস্কে অবশিষ্ট নেই। তুরস্কে এখন একজনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

২০১৮ সালে এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রীর অফিস অবলুপ্ত করে দেন এবং প্রেসিডেন্টের হাতে প্রায় সব ক্ষমতা কেন্দ্রিভূত করেন। এর আগে তুরস্কে প্রেসিডেন্টের পদ ছিল আলংকারিক, প্রকৃত ক্ষমতা ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কিন্তু এখন প্রেসিডেন্টের হাতে সব  ক্ষমতা। পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একইদিনে হয়।

এই ভোটগ্রহণ ১৮ জুন হওয়ার কথা। কিন্তু এর আগেও এরদোয়ান বলেছিলেন, ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে। এবার তিনি দিনও ঘোষণা করে দিলেন। তার দলের বক্তব্য, জুন মাসে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। মানুষ  বাইরে বেড়াতে যান। তাই ভোটগ্রহণ এগিয়ে আনা হচ্ছে।

 

এসএই/কিউ/এএল

আর্কাইভ