প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম
অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে পুরো বিশ্ব। মিসরও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশটির মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্টি চাহিদা পূরণে ‘মুরগির পা’ খাওয়ার পরামর্শ দিলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সমালোচনাকারীরা বলেন, এখন আমরা মুরগির পায়ের যুগে প্রবেশ করেছি। করোনা মহামারির কারণে বড় ধরনের আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে পর্যটনভিত্তিক দেশগুলো। মিসর তার অন্যতম।
এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আরেক দফা বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আরব বিশ্বের এ দেশটি। গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে দেশটি। ফলে সাধারণ খাদ্যপণ্যও মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ২০২১ সালে যে মুরগির দাম ছিল ৩০ মিসরীয় পাউন্ড (১১৭ টাকা), এ সপ্তাহের শুরুতে (সোমবার) সেই এক কেজি মুরগি কিনতে হয়েছে ৭০ মিসরীয় পাউন্ডে (২৫১ টাকা)। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ডিসেম্বরে মিসরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নিউট্রিশন পুষ্টির ঘাটতি পূরণে বিকল্প খাবারের একটি তালিকা প্রকাশ করে, যে তালিকায় রয়েছে মুরগির পা, গবাদিপশুর খুরসহ আরও অনেক কিছু। সরকারি প্রতিষ্ঠানের এ তালিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেক মিসরীয়। কারণ তাদের দেশে মাংসজাতীয় খাবারের মধ্যে সবচেয়ে কম দাম মুরগির পায়ের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটিকে বর্জ্য হিসাবেই বিবেচনা করে তারা। পুষ্টির জন্য সেটিকেই খেতে বলায় চটেছেন তারা। দেশটির গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ আল-হাশিমি নিজের চার লাখ অনুসারীর উদ্দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বলেন, ‘আমরা মুরগির পায়ের যুগে প্রবেশ করেছি।
এতে করে মিসরীয় পাউন্ডের যে অবস্থা খারাপ আর দেশ যে দিন দিন ঋণের দায়ে ডুবে যাচ্ছে, তা ফুটে উঠেছে।’ মুরগির পা খেতে বলার পর আরেক বিপত্তিও দেখা দিয়েছে। এখন এক কেজি মুরগির পায়ের দাম বেড়ে ২০ মিসরীয় পাউন্ড হয়েছে, যা আগের দামের দ্বিগুণ।