প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম
আফগানিস্তানে ইউনিভার্সিটি, মাধ্যমিক স্কুলে নিষিদ্ধ নারীরা। অনেক কর্মক্ষেত্রেও তারা নিষিদ্ধ। চলছে তীব্র শীত। এ সময়ে সেখানে মারাত্মক ঠাণ্ডা। ফলে সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ত্রাণ বিষয়ক কার্যক্রম এখন ঝুঁকিতে। এ জন্য যারা সেখানে অভাবী তাদের অবস্থা সঙিন। চারদিকে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ অবস্থা। ‘ফ্রস্টবাইট’ নক করছে দরজায়। এই গভীর সংকটের মধ্যে জাতিসংঘের সবচেয়ে সিনিয়র একজন প্রতিনিধি আফগানিস্তান সফর করছেন। ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতা দখল করার পর তিনি প্রথমবার রাজধানী কাবুলে অবতরণ করেছেন।
সেখানে তিনি তালেবানদের সঙ্গে নারী অধিকার সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ তার ডেপুটি আমিনা মোহাম্মদকে এই মিশনে পাঠিয়েছেন আফগানিস্তান। তিনি হলেন জাতিসংঘের সবচেয়ে সিনিয়র নারী কর্মকর্তা। যে টিমের নেতৃত্ব তিনি দিচ্ছেন তাতে আছেন ইউএন ওমেন-এর প্রধান সিমা বাহুসও। তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তালেবানের সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে আলোচনা করে ওইসব বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করা। বিশেষ করে নারী ত্রাণকর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাও এর অন্তর্ভুক্ত। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আফগানিস্তানে এখন জীবন রক্ষাকারী মানবিক ত্রাণ সহায়তা কর্মকাণ্ডও ঝুঁকিতে পড়েছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয়ক রমিজ আলাকবারোভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেখানে মানুষ ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছে। তাদেরকে বাঁচানোর সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। এখনই তাদের জন্য আশ্রয় নির্মাণ করে দেয়া দরকার। কিন্তু সেখানে রক্ষণশীল সমাজ। নেই নারী ত্রাণকর্মী। ফলে পরিবারের নারীদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আমরা এই কাজ চালিয়ে নিতে পারবো না।
এনএমএম/