• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা

স্বামীর মতোই প্রাণ হারালেন পাইলট অঞ্জু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম

স্বামীর মতোই প্রাণ হারালেন পাইলট অঞ্জু

পাইলট অঞ্জু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নেপালের পোখারা বিমানবন্দরে ৭২ জন আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৬৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইয়েতি নামে এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি রোববার রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাচ্ছিল। অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটির যে দুই পাইলট মারা গেছেন তাঁদের একজন অঞ্জু খাতিওয়াদা।

ক্যাপ্টেন কমল কে সির সঙ্গে উড়োজাহাজ চালাচ্ছিলেন অঞ্জু। ২০০৬ সালের ১২ জুন উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েই প্রাণ হারান অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখারেল। তিনি ছিলেন কো–পাইলট। সেই উড়োজাহাজটিও ছিল ইয়েতি এয়ারলাইনসের। সেটি বিধ্বস্ত হয়েছিল জুমলা বিমানবন্দরে। সেবার দীপকসহ প্রাণ হারান ১০ আরোহী।

স্বামীর মৃত্যুর পরই অঞ্জু পাইলট হবেন বলে স্থির করেন। স্বামী মারা যাওয়ার তাঁর স্বপ্নপূরণ করবেন বলে সংকল্প নেন। এরপর পাইলট হওয়ার জন্য পড়াশোনা শুরু করেন অঞ্জু। পড়ার জন্য যান যুক্তরাষ্ট্রে। স্বামীর মৃত্যুর চার বছরের মাথায় তাঁর পড়াশোনো শেষ হয়। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেপালে ফিরে কাজে যোগ দেন।

ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে চলছে উদ্ধারকাজ। ১৫ জানুয়ারি, নেপালের পোখারায়

নেপালে ফিরে এটিআর মডেলের উড়োজাহাজ চালানোর মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু করেন অঞ্জু। সেই এটিআর মডেলের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে রোববার প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে। অঞ্জুর স্বামী দীপক প্রথমে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার চালাতেন। কিন্ত পরে ইয়েতি এয়ারলাইনসে পাইলট হিসেবে যোগ দেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লোকান্তরকে অঞ্জুর একজন আত্মীয় বলেন, পাইলট স্বামী ও স্ত্রীর পৃথক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর এমন কাকতালীয় ঘটনা বিরল।

ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে চলছে উদ্ধারকাজ। ১৫ জানুয়ারি, নেপালের পোখারায়

নেপালের বিরাটনগর শহরে স্কুলে পড়েন অঞ্জু। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে যান। এর মধ্যে অঞ্জুর বিয়ে হয় দীপকের সঙ্গে। তাঁদের ২২ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। দীপকের মৃত্যুর পর সুভাষ কে সি নামে কাঠমাণ্ডুর এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন তিনি। অঞ্জু ও সুভাষ দম্পতির সাত বছরের একটি ছেলে আছে।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ