প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম
মোবাইল ও ইন্টারনেটের যুগে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানিয়ে বিভিন্ন চক্র প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বহু পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে চলছে। এভাবেই মোবাইলে প্রেমের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিষপান করে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার বক্সনগর ব্লক অন্তর্গত ভেলুয়ারচড় চৌকিদার চৌমুহনী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় তিন বছর আগে ভেলুয়ারচড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের ছেলে জুয়েল হোসেন(১৯) আগরতলা খয়েরপুরস্থিত পঞ্চায়েত টিলা এলাকার বিল্লাল হোসেনের কন্যা ফারজানা আক্তার (মিম) নামে এক মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। পরিচয় সহ, আলাপচারিতায় দু`জনের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে। ফারজানা জানায়, গুয়াহাটিতে তিনি পড়াশোনা করেন। দু`জনের মধ্যে ফোন নম্বর বিনিময় হয়। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
দু`জনের মধ্যে বিবাহ হওয়ার চুক্তিও হয়। সহজ সরল গ্রাম্য ছেলে জুয়েল মোবাইলে ফারজানার সমস্ত কথাবার্তা বিশ্বাস করে আবেগপ্রবণ হয়ে মন থেকে ভালবেসে ফেলে। তিন বছরের মধ্যে একদিনও দেখা হয়নি। এই প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে জুয়েল তিন বছরে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা ফারজানার একাউন্টে পাঠান। জুয়েলের বাবার সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, ফারজানা খয়েরপুরস্থিত পঞ্চায়েত টিলা এলাকায় তাঁর ঠিকানা বললেও এখনও জানতে পারেননি ঠিকানাটা সঠিক ছিল কি না। গত ১৩ জানুয়ারি ফারজানার পরিবারের সঙ্গে কথা হয় বিবাহের দিন তারিখ নির্ধারণ করার জন্য। কিন্তু ফারজানার পরিবার বিবাহ সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনও কথা বলেনি। ১৫ জানুয়ারি ভোরবেলা জুয়েল-ফারজানার মধ্যে বিবাহ নিয়ে বহু কথা কাটাকাটি হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। শেষপর্যন্ত ফারজানা প্রত্যাখ্যান করেন। এর জেরেই রবিবার সকালে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে কীটনাশক খান। কীটনাশকের গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি জুয়েলকে প্রথমে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুয়েলকে জিবি হাসপাতালে রেফার করেন। জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই প্রাণ হারান জুয়েল।