প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৪:৫৩ পিএম
বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পেরু। প্রেসিডেন্ট দিনা বোলার্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলনে ইতিমধ্যেই প্রাণ দিতে হয়েছে ৪২ জনের।
বোলার্তে জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে গণপরিষদ গঠন করা হবে না। নতুন করে সংবিধান তৈরি করতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশ চিলি অনেক বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হয়েছিল। খবর: দিৈনিক আনন্দবাজারের
আজ সোমবার জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে রাজধানী লিমা-সহ পেরুর একাধিক শহরে। আগামী ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সাধারণ মানুষের গতিবিধি, এক জায়গায় জমায়েত হওয়া, নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে সব কিছুতেই।
ডিসেম্বর মাসে প্রথম সরকারি-বিরোধী গণআন্দোলন শুরু হয়। এই সময়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাসতিলোকে গদিচ্যুৎ হতে হয়। তিনি এখন হেফাজতে। বিচার চলছে। বর্তমানে দেশ জুড়ে চলা সরকারি-বিরোধী বিদ্রোহেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। কাসতিলোর সমর্থকদের দাবি, নতুন করে ভোট করা হোক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিনা বোলার্তেকে সরানো হোক। বোলার্তে একই বাম-দলের সদস্যা। ৬০ বছর বয়সি প্রবীণা জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
শুক্রবার একটি সাক্ষাৎকারে বোলার্তে বলেন, ‘‘কিছু হিংস্র, মৌলবাদী মানুষ আমার ইস্তফা চাইছেন। সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তুলছেন। দেশ জুড়ে বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংস। কিন্তু আমি পদত্যাগ করবনা। পেরুর প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে।’’
প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বিক্ষোভ এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪২ জনের প্রাণ গিয়েছে।
বোলার্তে জানান, এক পুলিশ আধিকারিক গাড়ির ভিতরে জীবন্ত পুড়ে মারা গিয়েছেন। কয়েকশো মানুষ জখম। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে পেরুর এত মানুষের মৃত্যু, হতাশ লাগছে। এই পরিস্থিতির জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’’
বোলার্তে জানিয়েছেন, ওঁর যা-ই বলুন, বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে গণপরিষদ গঠন করা হবে না। তাঁর বক্তব্য, নতুন করে সংবিধান তৈরি করতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশ চিলি বহু বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হয়েছিল। তাঁরা তা চান না। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে পেরুর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ টালমাটাল। গত পাঁচ বছরে বোলার্তে ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। আগের প্রেসিডেন্ট বিচারাধীন।
সাজেদ/