প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০১:৩২ এএম
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক। ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটের বামপন্থি ও ফিলিস্তিনি সদস্যরা এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৭ জানুয়ারি) তেল আবিব শহরে হাজার হাজার সাধারণ নাগরিক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সদ্যগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা এ সরকারকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে আখ্যা দেন।
বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহু সরকারকে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক, ফ্যাসিবাদ ও বর্ণবাদী বলেও স্লোগান দেন। অনেকে রংধনু পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশটির বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিনের নিন্দা করেন।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করে নির্বাহী শাখার আধিপত্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিতর্কিত একটি পরিকল্পনা পেশ করেছে নতুন সরকার। এর আওতায় সুপ্রিম কোর্টের কিছু রায় বদলে দেয়ার ক্ষমতা পাবে সরকার। সেই সঙ্গে বিচারপতি নিয়োগের নিয়ন্ত্রণও থাকবে সরকারের হাতে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ সংশোধন দেশের সুপ্রিম কোর্টকে দুর্বল করে দেবে। বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন অবশ্য এমন পদক্ষেপকে ‘সংস্কার` হিসেবে তুলে ধরে বিচার বিভাগকে ‘আরও শক্তিশালী ও জনগণের আস্থা ফেরানো’ হবে বলে দাবি করেছেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর শপথ নেয়া নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোটকে ইসরাইলের এ যাবৎকালের সবচেয়ে কট্টর ডানপন্থি সরকার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। গোলান মালভূমি, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের বিতর্কিত অঞ্চলে স্থাপনা গড়ে তোলার কাজ সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানিয়েছে তারা৷
ইসরাইলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে স্থাপনা গড়ে তোলাকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে বেআইনি হিসেবে দেখে থাকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ও জাতিসংঘ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক তথ্য বলছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে পশ্চিম তীরে মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ ছিল ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। ২০২১ সালের পর যা আরও বেড়েছে।
সাজেদ/