প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৭:২২ পিএম
পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আরও জোরদার হয়েছে । বুধবার (৪ জানুয়ারি) অঞ্চলটির অন্তত ৪৫টি এলাকায় রুশ সেনারা একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এতে ৯ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশেও হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ সেনারা। গত সপ্তাহে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে কিয়েভ। হামলায় ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বুধবার একযোগে রুশ সেনারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪৫টি এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা। কিয়েভের দাবি, হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক হতাহত হয়েছেন। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বাখমুত শহরের ৬০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও বরাবরের মতো রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগ বলছে, ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল।
নতুন এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে দিতে রাশিয়া আবারও সেনা সমাবেশের কৌশল নিচ্ছে। এর মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে ইউক্রেনে ব্যাপক আকারে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে যে কোনো কিছুর বিনিময়ে রাশিয়ার এ পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন জেলেনস্কি। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে নতুন করে সেনা সমাবেশের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা জানিয়েছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা ঠেকাতে শিগগিরই অত্যাধুনিক মার্কিন প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের কাজ শুরু করেছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
অন্যদিকে চলমান যুদ্ধে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে আটলান্টিক মহাসাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিন। বুধবার সেনাপ্রধানের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। যুদ্ধজাহাজে নতুন প্রজন্মের জিকরন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত আছে বলেও জানান পুতিন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে গুঁড়িয়ে দিতে এ অস্ত্রকে অন্যতম উপায় হিসেবে বিবেচনা করছে রাশিয়া।
এনএমএম/এএল