প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৩:৪৯ এএম
চীনে করোনার বাড়বাড়ন্তের পর দেশটিকে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ইইউ কর্মকর্তা এ প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি বিক্ষোভের মুখে ‘জিরো কোভিড’ নীতি বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর করোনা ভয়াবহ রূপ নেয় চীনে। দেশটিতে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বহু মানুষ। দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। রোগীর চাপে হিমশিম অবস্থা হাসপাতালগুলোর। এমন পরিস্থিতিতে চীনকে টিকা দেয়ার প্রস্তাব দিলো ইইউ।
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, ইউরোপীয় কমিশনের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইইউ’র প্রস্তাবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি চীন। তবে কী পরিমাণ টিকা দেয়া হবে বা কোন কোম্পানির টিকা দেয়া হবে তা সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দেননি ওই মুখপাত্র।
মুখপাত্র বলেছেন, চীনে কোভিড পরিস্থিতির কারণে ইইউ’র স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে সব ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকাও রয়েছে।
ইইউ’র প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং সরাসরি জবাব দেননি। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, চীনের টিকাদানের হার ও চিকিৎসার সামর্থ্য দিন দিন বাড়ছে এবং টিকার সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।
মাও নিং বলেছেন, মহামারির চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে চীন সংহতি ও সহযোগিতা শক্তিশালী করবে। তবে টিকা নিতে আগ্রহী যে কারও চাহিদা পূরণে সক্ষম চীন।
চীন এখন পর্যন্ত নিজেদের তৈরি টিকা ব্যবহার করে আসছে। এসব টিকা পশ্চিমা এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি নয়। গত মাসে জার্মানি ১১ হাজার ৫০০ বায়োএনটেকের উৎপাদিত টিকা চীনে পাঠিয়েছে দেশটিতে থাকা জার্মান কোম্পানি, দূতাবাস এবং কনস্যুলেটে কর্মরত জার্মান নাগরিদের জন্য।
সাজেদ/