• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

কোন কাজ করে রতন টাটা সবথেকে বেশি আনন্দ পান? খোলসা করেছেন নিজেই

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ০৩:৪৩ এএম

কোন কাজ করে রতন টাটা সবথেকে বেশি আনন্দ পান? খোলসা করেছেন নিজেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যা কাজটা সবাই ভাবে এটা করা সম্ভবই নয়, ঠিক সেই কাজটা করে আমি সবথেকে বেশি আনন্দ পাই।’’ বক্তার নাম? নাহ! উত্তর দেওয়ার জন্য পুরস্কার নেই কোনও। কারণ, বক্তা হলেন‌ রতন টাটা।

আজ, রতন টাটার 85তম জন্মদিন। সেই জন্মদিনে শিল্পপতির হর্ষ গোয়েঙ্কার করা পুরনো এই টুইটের প্রসঙ্গ তুলে আনছেন অনেকে। সেই টুইটে হর্ষ গোয়েঙ্কা রতন টাটার একটি 8 সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। যেখানে তরন টাটা ন‌িজেই এই কথাগুলো বলেছিলেন।

এমনিতে আজ সারাদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় রতন টাটাকে নিয়ে নেটিজেনরা টুইট, ভিডিয়ো, পোস্ট করে ভরিয়ে দিচ্ছেন। তার মধ্যে যেমন সাধারণ নাগরিকেরা রয়েছেন, রয়েছেন তাবড়-তাবড় ব্যক্তিত্বরাও। আর হবে নাই বা কেন?

রতন টাটা শিল্পপতি।—তবে শুধুই এই পরিচয়ের মধ্যে তাঁকে সীমাবদ্ধ করে রাখা যাবে না। বরং তিনি সেই পরিচয় অতিক্রম করেছেন বহু-বহু আগেই। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের জন্যও রতন টাটা আক্ষরিক অর্থেই প্রেরণা!

তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন জৈনিক এক ইউজার। তিনি লিখেছেন, ‘‘রতন টাটা আগে একজন অসাধারণ মানুষ। পরে তিনি একজন শিল্পপতি। আক্ষরিক অর্থেই রতন টাটা একজন জাতীয় বীর।’’

অনেকে আবার টুইট করেছেন, বলেছেন শিল্পপতি বা তাঁর আর্থিক, ব্যবসায়িক সাফল্য তো রয়েছেই। কিন্তু সবথেকে বেশি সফলতা রতন টাটার একজন মানুষ হিসেবে। এত ভাল মনের মানুষ সচরাচর দেখা যায় না।

আসলে দেশের তাবড় ব্যক্তিত্ব, সাধারণ নাগরিক ভারতীয় শিল্পের এই বটবৃক্ষসম ব্যক্তিত্বের শুধুমাত্রই সাফল্যের উদযাপন করছেন না আজকে। কারণ, সাফল্য-ব্যর্থতার নিরিখে রতন টাটার মতো ব্যক্তিত্বকে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না বলেই তাঁরা বিশ্বাস করেন। এবং সেটাই সত্যি।

কারণ, এই বয়েসে এসে, অজস্র সফলতা, অজস্র মাইলফলক স্থাপনের পরে রতন টাটাও যদি নিজের মূল্যায়নে বসেন, তা হলে কি তিনি নিজেকে সফলতার শীর্ষে বসা একজন শিল্পপতি হিসেবে মূল্যায়ন করবেন? মনে হয় না!

কেন না, তা বোঝার জন্য অতীতের দিকে তাকাতে হবে। যেখানে রতন টাটা নিজে বলছিলেন, কীভাবে শুধুমাত্র ভারতীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তিনি চারচাকার গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। ভারতে তৈরি হচ্ছে বলে গাড়ির নাম দিয়েছেন ‘ইন্ডিকা’। কিন্তু ভারতীয় প্রযুক্তিতে গাড়ি তৈরি সম্ভব নয় বলেই তাঁকে সতর্ক করেছিলেন বন্ধুবান্ধব। তিনি শোনেননি।

কিন্তু বাজারে সেই গাড়ি আসার আগের মুহূর্তে হঠাৎ করে রতন টাটা দেখেছিলেন, তাঁর যত বন্ধুবান্ধব ছিলেন, তাঁরা আর কেউ আশপাশে নেই। রতন টাটার নিজের কথায়, ‘‘তাঁরা ঠিক আমার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছিলেন না। তাঁরা দূরত্ব তৈরি করছিলেন ব্যর্থতার সঙ্গে। ব্যর্থতা থেকে দূরে থাকতে চাইছিলেন তাঁরা।’’

যখন বাস্তবে গাড়িটি বাজারে এল, তখন রতন টাটা দেখলেন তিনি সম্পূর্ণ নির্বান্ধব একজন মানুষ! তাঁর আশঙ্কাও হল, অন্যদের বলা কথাই হয়তো সত্যি হতে চলেছে।

কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ বলছে, ইন্ডিকা বাজারে আসার পরে ক্রমে গাড়ি-বাজারের 20% দখল করে নিয়েছিল। তারপর যা ঘটেছিল, যাকে বলে বাকিটা ইতিহাস, সেটা!

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ