প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০৬:৫৪ পিএম
এ মাসে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সিদ্ধান্তটিকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। আন্তর্জাতিকভাবেও আফগান সরকার সমালোচনার মুখে পড়ে। গতকাল রোববার আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মুজাম্মেল নামে এক ছাত্র বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না ফেরা পর্যন্ত আমরা বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা আমাদের পড়াশোনাও বর্জন করব। আর শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেব না।’ অপর এক ছাত্র বলেন, ‘আমাদের বোনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরাও আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাই না।’
টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রভাষকও তালেবানকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।
তালেবান নির্দেশ দিয়েছে, আফগানিস্তানে দেশি ও বিদেশি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) আর কাজ করতে পারবেন না নারীরা। শিক্ষক তৌফিক উল্লাহ বলেন, ‘আমরা ইসলামিক এমিরেট (আফগানিস্তান) কর্তৃপক্ষকে বলছি আমাদের বোনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন আবারও খুলে দেয়া হয়।’
কাবুলের বাসিন্দা আসমা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এবং ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। সিয়ার নামে কাবুলের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দিয়ে এবং নারীদের পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত করে আফগানিস্তানকে সমৃদ্ধ করা যাবে না।’
সজিব/এএল