প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে তুষারঝড়ে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিছু মানুষ নিজেদের গাড়িতে আটকা পড়েছেন। হাজারো বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেশির ভাগ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্ক রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে লেক এরির ধারে বাফেলো শহর ও এর আশপাশের এলাকায়। ভারী তুষারপাত আর হিমশীতল বাতাসে বাফেলো চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এরি কাউন্টির নির্বাহী মার্ক পোলোনকারজ বলেছেন, রোববার বাফেলো এলাকায় মৃতের সংখ্যা ১২ জনে গিয়ে ঠেকেছে। রাত নাগাদ এই সংখ্যা তিনজন ছিল বলে জানা গিয়েছিল। তিনি বলেন, সর্বশেষ মৃত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে গাড়ির ভেতর আর কয়েকজনকে তুষারের নিচে পাওয়া যায়। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
পোলানকারজ টুইটে বলেন, ‘এমন বড়দিন আমাদের কেউ আশা করেনি কিংবা ধারণাও করেনি। যেসব পরিবার তাঁদের প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা বলছে, এই তুষারঝড়ের বিস্তৃতি নজিরবিহীন। কানাডার নিকটবর্তী গ্রেট লেকস থেকে মেক্সিকো সীমান্তের রিও গ্রান্ডে পর্যন্ত তুষারঝড় বয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ আবহাওয়াবিষয়ক পরামর্শ কিংবা সতর্কতার আওতায় রয়েছেন। রকি পর্বতমালার পূর্ব থেকে অ্যাপালাচিয়ান পর্যন্ত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে। নর্থ বাফেলোর বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জন বার্নস বলেন, ঝড়ে তিনি ও তাঁর পরিবার ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিজেদের বাড়িতে আটকে পড়েছেন। পরিবেশ ভয়াবহ হিমশীতল বলে জানান তিনি। পরিস্থিতিকে যুদ্ধক্ষেত্রের সঙ্গে তুলনা করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর। সবাইকে ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে সতর্ক করেছেন তিনি।
সজিব/