প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২২, ০৫:২২ পিএম
তালেবান সরকার আফগানিস্তানের নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। তালেবানের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর একটি চিঠিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই আইন কার্যকর হওয়ার ফলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় নারীদের প্রবেশাধিকার আরও সীমাবদ্ধ করে ফেলবে। কেননা তারা ইতোমধ্যেই মাধ্যমিক শিক্ষা থেকে বাদ পড়েছে। তিন মাস আগে আফগানিস্তানজুড়ে হাজার হাজার নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিল। তবে তারা যে বিষয়গুলো অধ্যয়ন করতে পারে তার ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পশু চিকিৎসা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, অর্থনীতি এবং কৃষি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে তালেবান প্রশাসন। এ ছাড়া দেশটিতে সাংবাদিকতা শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ। গত বছর তালেবান ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে সীমিত করে। নারীদের জন্য পৃথক শ্রেণিকক্ষসহ বিকল্প যাতায়াতের পথ বেঁধে দেয় তালেবান প্রশাসন।
এ ছাড়া কারা নারীদের পড়াতে পারবেন আর কারা পড়াতে পারবেন না তা নির্ধারণ করে দেয় তালেবান। নারীদের শিক্ষার জন্য নারী অধ্যাপক ও বয়স্ক শিক্ষকদের অনুমতি দেয় তালেবান প্রশাসন। গত নভেম্বরে, তালেবান কর্তৃপক্ষ রাজধানী কাবুলের পার্কগুলোতে নারীদের নিষিদ্ধ করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, সেখানে ইসলামিক আইন মানা হচ্ছে না।
তালেবান ক্ষমতায় যাওয়ার পরই আফগানিস্তানের শিক্ষাখাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। গত বছর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের পর প্রশিক্ষিত শিক্ষাবিদদের অনেকেই দেশত্যাগ করেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষক বেতন থেকে বঞ্চিত হতে থাকেন।
এনএমএম/এএল