• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জেলেনস্কির দাবি:

আরও একটি ইউক্রেনীয় শহর ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২২, ০৩:১৭ এএম

আরও একটি ইউক্রেনীয় শহর ধ্বংস করেছে রুশ বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চরীয় শহর বাখমুতকে রাশিয়ান বাহিনী ধ্বংস করে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রায় এক মাস আগে ইউক্রেনীয় বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন পুনরুদ্ধার করার পর বাখমুতের চারপাশে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যেখানে ইউক্রেনের সবচেয়ে সক্রিয় লড়াই চলছে।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) জেলেনস্কি তার নিয়মিত রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, রাশিয়ান দখলদাররা প্রকৃতপক্ষে বাখমুতকে সম্পূন্নরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে, তারা আরেকটি ডনবাস শহরকে পোড়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত করল।

বিশদ বিবরণ না দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘অল্প কিছু বিল্ডিং শহরের মধ্যে এখনও দাঁড়িয়ে আছে এবং বাসিন্দারা এখন রাস্তায় তাদের দিন পার করছেন।’

কিছু পর্যবেক্ষক দাবি করেছেন, রাশিয়া পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুতের দিকে মনোনিবেশ করেছে, শহরটিকে দখল করলে ইউক্রেনের সরবরাহ লাইন ভেঙে যাবে। এছাড়াও রাশিয়ান বাহিনীর জন্য ডোনেটস্কের ক্রামতোর্স্ক এবং স্লোভিয়ানস্কের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য একটি পথ খুলে যাবে, যেখানে ইউক্রেনের প্রধান ঘাঁটি রয়েছে।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

এদিকে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় শনিবার দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসা শহরটি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওডেসার হাসপাতাল এবং প্রসূতি ওয়ার্ড সহ শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ ছিল।

ওডেসা অঞ্চলের গভর্নর ম্যাকসিম মারচেনকো বলেছেন, রাশিয়া শুক্রবার রাতে ‘কামিকাজে ড্রোন’ দিয়ে শহরটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের প্রায় সবগুলো জেলা ও কমিউনিটিতে বিদ্যুৎ নেই।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে রুশ সামরিক বাহিনী। রুশ হামলার পর সৃষ্ট পানি ও বিদ্যুতের সংকট থেকে মুক্ত হতে কার্যত সংগ্রাম করছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। মূলত, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।

সূত্র: আলজাজিরা

এসএ/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ