• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ফুটবল স্টেডিয়ামে লোক জড়ো করে ১২ জনকে বেত্রাঘাত

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম

ফুটবল স্টেডিয়ামে লোক জড়ো করে ১২ জনকে বেত্রাঘাত

‍‍`‍‍`নৈতিক অপরাধ" করার জন্য তালেবানরা একটি আফগান ফুটবল স্টেডিয়ামে কমপক্ষে ১২ জনকে বেত্রাঘাত করেছে বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

‍‍`‍‍`নৈতিক অপরাধ" করার জন্য তালেবানরা একটি আফগান ফুটবল স্টেডিয়ামে কমপক্ষে ১২ জনকে বেত্রাঘাত করেছে বলে জানা গেছে। ইন্ডিপেনডেন্ট অনুসারে, আফগানিস্তানের লোগার স্টেডিয়ামের ভিতরে শত শত দর্শকের সামনে  তিন নারীকেও  প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল। তাদের  ব্যভিচার, ডাকাতি এবং সমকামী যৌনতা সহ শরিয়া আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।


বিবিসির সাথে কথা বলার সময়  তালেবানের মুখপাত্র ওমর মনসুর মুজাহিদ জানিয়েছেন-  শাস্তি দেয়ার পর তিন নারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এই মাসে বিচারকদের ইসলামিক আইনের দিকগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, পাথর মারা ,বেত্রাঘাত এবং চুরির  জন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা।তালেবানের প্রধান মুখপাত্রের মতে- ‍‍`‍‍`চোর, অপহরণকারী এবং রাষ্ট্রদ্রোহীদের ফাইল সাবধানে পরীক্ষা করুন। যে ফাইলগুলিতে হুদুদ এবং কিসাসের সমস্ত শরিয়া শর্ত পূরণ করা হয়েছে, আপনি তা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য। ‍‍`‍‍`তালেবানরা অভিযুক্ত নারী ও পুরুষদের  ৩৯ বার বেত্রাঘাত করেছেন। সাংবাদিক হাবিব খান স্টেডিয়ামের একটি অপ্রমাণিত চিত্র পোস্ট করেছেন যখন  বেত্রাঘাত চলছিলো। 

সেই সময়ে আফগানিস্তানের লোগার প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে শত শত লোকের একটি বিশাল ভিড় দেখা গেছে। এই ভিড় জড়ো হয়েছিলো খেলা দেখার জন্য নয়, তালেবান কর্তৃক প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড দেখার জন্য। 

ফুটবল স্টেডিয়ামে লোক জড়ো করে ১২ জনকে বেত্রাঘাত করলো তালেবান

হাবিব খান টুইট করে বলেছেন -‍‍`‍‍`আগে খেলাধুলার ইভেন্টের জন্য স্টেডিয়ামগুলি ব্যাবহৃত হতো এখন তালেবানদের দ্বারা ফাঁসি, গুলি, পাথর মারা, অঙ্গচ্ছেদ এবং চাবুক মারার জন্য ব্যবহৃত হয়।"চলতি মাসে তালেবানদের দেয়া এই ধরনের শাস্তির এটি দ্বিতীয় ঘটনা।আফগানিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল যে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে ব্যভিচার, চুরি এবং বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ১৯ জন লোককে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ