প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১, ০৯:৫৯ পিএম
গ্রামে
ছিল না কোনো মসজিদ।
চারটি মুসলিম পরিবারকে নামাজ আদায় করতে হতো
বাড়িতেই। সে কারণে এগিয়ে
এসেছেন হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের
লোকেরা। তাদের প্রচেষ্টায় মুসলমানদের জন্য তৈরি হলো
মসজিদ।
ঘটনাটি
ভারতের পাঞ্জাবের মোগা জেলার ভুলার
গ্রামের। সেখানে মিলেমিশে বসবাস করেন হিন্দু, শিখ
ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা।
গ্রামে
শিখদের জন্য সাতটি গুরুদুয়ারা
আর হিন্দুদের জন্য দুটি মন্দির
থাকলেও মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ
ছিল না। তাই মুসলমান
প্রতিবেশী পরিবারের কথা চিন্তা করে
হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের
লোকেরা গ্রামে মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন।
গ্রামের
একটি গুরুদুয়ারায় গত ১৩ জুন
মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নায়েব শাহি ইমাম মাওলানা
মোহাম্মদ উসমান রহমানি লুদিয়ানভি। এ ছাড়া মসজিদটির
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গ্রামের সব ধর্মের মানুষ
উপস্থিত ছিলেন।
গ্রামের
প্রধান পলা সিং জানান,
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের
আগে গ্রামে একটি মসজিদ ছিল।
তবে সেটি সময়ের সঙ্গে
ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। গ্রামে এখন
চারটি মুসলিম পরিবার রয়েছে। হিন্দু, মুসলিম এবং শিখ সবাই
মিলেমিশে বসবাস করছে। তারা সবাই মিলে
সিদ্ধান্ত নেন, সেই মুসলিম
পরিবারগুলোর জন্যে আগের মসজিদটির স্থানে
নতুন করে মসজিদ নির্মাণ
করা হবে।
তিনি
আরও জানান, মসজিদ নির্মাণের জন্য অনেক গ্রামবাসীই
এক হাজার থেকে শুরু করে
এক লাখ রুপি পর্যন্ত
দান করেছেন। ওয়াকফ বোর্ডের সদস্যরাও অর্থ তহবিলে অবদান
রেখেছেন।
ডব্লিউএস/এম. জামান