আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ন্যাটো সতর্কতা উচ্চারণ করতেই চীন যেন আরও বেপরোয়া। সমালোচনার জবাব মুখে তো দিয়েছেই, এবার অন্য পথও বেছে নিয়েছে। তাইওয়ানের আকাশসীমায় বিমানের মহড়া দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (১৫ জুন) চীনের ২৮টি উড়োজাহাজ তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে প্রবেশ করে। তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাইওয়ানে এমন সময়ে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল, যখন শিল্পোন্নত শীর্ষ সাত দেশের জোট জি-৭ চীনের সমালোচনা করে চলতি সপ্তাহে সম্মেলন শেষে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, চীন তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা উপেক্ষা করছে। জি-৭এর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করার পর এবারই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক চীনা বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।
মঙ্গলবার চীনের যেসব যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তার মধ্যে জে-১৬, জে-১১ ও এইচ-৬ বোমারুবিমান ছিল। এই যুদ্ধবিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিন বিধ্বংসী ও ইলেকট্রনিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। এত সংখ্যক যুদ্ধবিমান একসঙ্গে আগে কখনও তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। এর আগে গত বছরের এপ্রিলে সর্বোচ্চ ২৫টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় পাঠিয়েছিল চীন।
তাইওয়ানকে চীন নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে। তাই এর নিয়ন্ত্রণ নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে দেশটি। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করে আসছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করে চীনবিরোধী কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। সম্প্রতি জি-৭ সম্মেলন থেকে যেমন চীনের সমালোচনা করা হয়েছে তেমনি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোও চীনের সমালোচনা করেছে। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা বলেছেন, ‘চীন তাদের পরমাণু শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে চীন তাদের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন করছে।’
শামীম/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন