প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৬:৩৬ পিএম
যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার নির্বাচনে দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে তিন প্রতিযোগির মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় ছিলেন বরিস জনসন। তবে শেষ পর্যন্ত এবারের নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাবেক এই ব্রটিশ প্রধানমন্ত্রী। রোববার (২৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাতে এক বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানায় আল জাজিরা।
বরিস জনসন সরে যাওয়ার পর ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।
এর আগে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর এ পদে আসিন হন লিজ ট্রাস। কিন্তু অর্থনীতি পুনুরুদ্ধারে তিনি যে বাজেট পেশ করেছেন তা তার গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। পরবর্তীতে নিজের অক্ষমতা ঢাকতে তারই নিয়োগ দেওয়া অর্থমন্ত্রীকে চাকরি চ্যুত করেন। এরপর লিজ ট্রাসও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার গ্রহণযোগ্যতা হারান। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেও লাভ হয়নি। পদত্যাগের পথে তাকেও হাঁটতে হয়েছে।
এ ঘটনার পরই পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়। এ দৌড়ে যে ক’জনের নাম উচ্চারিত হচ্ছিল তাঁদের মধ্যে বরিস জনসনও ছিলেন। তবে রোববার রাতে এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান। এতে তিনি বলেন, আপাতত প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড়ে থাকা ঠিক হবে না। কারণ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা যদি একতাবদ্ধ না হন তবে কার্যকরভাবে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
এই নির্বাচন না লড়লেও ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দিকে নজর রাখছেন বরিস জনসন। সেই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আগামী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে বিজয় এনে দিতে পারব।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ঋষি সুনাক। ১৩৬ জন আইনপ্রণেতা তাঁকে সমর্থন করছেন। এ ছাড়া যারা বরিসকে সমর্থন করছিলেন তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন এখন ঋষি সুনাককে সমর্থন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঋষি সুনাক ছাড়াও এই লড়াইয়ে রয়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মরডান্ট। তাকে সমর্থন দিয়েছেন ২৩ আইনপ্রণেতা।
আগামী ২৮ অক্টোবর নতুন নেতা নির্বাচন করতে চায় কনজারভেটিভ পার্টি। বর্তমান পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীনদের আইনপ্রণেতা রয়েছেন ৩৫৭ জন। তারা নতুন দলনেতা নির্বাচিত করবেন।
এআরআই