প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২, ০২:১০ এএম
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুযোগ এবং সময় পেলেই তিনি করে থাকেন অনেক রকমের নানা কাণ্ড। তার সেই সব কান্ড নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। কোন তোলপাড়েরই জবাব দেন না তিনি। এবারও আলোচনা উঠেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে। তবে নিরবই রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিকে ঘিরেই জন্ম নিয়েছে এই আলোচনা-সমালোচনার। ছবিতে দেখা যায়, একটি ছোট্ট ক্লাসরুমে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর ছবিটি রীতিমতই ছড়িয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জানা যায়, গুজরাটের গান্ধীনগরে গত বুধবার মিশন স্কুল অব এক্সেলেন্স প্রকল্পের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। এর অঙ্গ হিসেবে আদালাজের একটি স্কুলে গিয়েছিলেন। সেখানে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সঙ্গে কিছুটা সময়ও কাটিয়েছিলেন তিনি। এর বেশ কিছু ছবি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই তার টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন।
ক্যাপশনে লিখেছিলেন, মিশন স্কুল অব এক্সেলেন্সের সূচনার সময় আমাদের কচিকাঁচাদের সঙ্গে আলাপচারিতার কিছু ঝলক।
ব্যাস, এরপর আর তাকে কিছু করতে হয়নি। সমালোচকরা তার সেই ছবি ভাইরাল করে দিয়েছে। এতে রাতারাতি ওই স্কুল বড়বড় মিডিয়ার শিরোনামে ঠায় পেয়েছে।
টুইট করা ছবিতে দেখা গেছে একেবারেই ছোট্ট একটি ক্লাসরুম। তিনটি বেঞ্চে মাত্র পাঁচ পড়ুয়া। তাদের সঙ্গে বসে প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কোনও স্কুলের ক্লাসরুম কি এমন হয়? কেউ কেউ আবার সাফ বলেছেন, এটা একেবারেই সাজানো ক্লাসরুম।
তাদের অভিযোগ, ঘরের দেয়ালে খোলা জানালার ছবি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। কার্ডবোর্ডের দেওয়াল দিয়ে নকল ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে। এভাবে ছবির বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করে তারা এইসব দাবি করছেন। কেউ কেউ বলছেন পুরো ব্যাপারটাই প্রচারের কৌশল। ছবিতেই প্রধানমন্ত্রীর ফাঁকিবাজির কৌশল ধরা পড়েছে।
মোদির স্কুল ভিজিটের আরও কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারাও এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব। রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) কটাক্ষ করে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি তোলার সেট ছিলো সাজানো নাটক। প্রচারের মায়াবি আলোয় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই তিনি এ ধরনের কৌশল করেছেন।
তারা প্রশ্ন তুলেছেন, এমন সাজানো স্কুলে যাওয়া কি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মানানসই হয়েছে? আবার কেউ কেউ বলছেন মোদিজি মুখ ঢেকে বিজ্ঞাপণ করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন।
এবি/এআরআই