• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২, ০৬:২০ এএম

বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ট্রায়াল রান সম্পন্ন

কলকাতা প্রতিনিধি

 বাংলাদেশ বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির অধীনে আটটি রুট অনুমোদন করা হয়। এই রুটগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে আগরতলা হয়ে আখাউড়া, ডাউকি হয়ে তামাবিল, সুতারকান্দি হয়ে শেওলা, শ্রীমন্তপুর হয়ে বিবিরবাজার।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময়, চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি SOP স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল মুভমেন্ট হয় ২০২০ সালের জুলাই মাসে। সে সময়ে চারটি কন্টেইনার, দুটি টিএমটি স্টিল এবং ডাল, কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় নেয়া হয়েছিল। ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি গিয়েছে মেঘালয়। এটাই ছিল এই রুটের শেষ ট্রায়াল রান। আর এর মাধ্যমেই চুক্তির সবগুলো রুটের ট্রায়াল রান শেষ করা হয়। শেষ রানে মেঘালয় থেকে ট্রানজিট কনটেইনার বহনকারী ‘MV Trans Samudera’ নামের একটি জাহাজ গত বুধবার ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়েছে।

ট্রায়াল রান শেষ হওয়ার পর চুক্তির অধীনে করা রুট দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সরকার স্থায়ী  আদেশ দিবে। তারপর চালু হবে পণ্য পরবিহনের নিয়মিত রুট। ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তির অধীনে এই কার্গো মুভমেন্ট ছিল ট্রায়াল রানের অংশ।

২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের  প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় দুই প্রধানমন্ত্রীর (বাংলাদেশ ও ভারত) পর্যায়ে যে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটি ছিল একটি পদক্ষেপ। ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে টাটা স্টিল এবং সিজে ডার্কল লজিস্টিকস পরিবহন দিয়ে এই ট্রায়াল রান করা হয়।

ভারতীয় হাইকমিশন বলেছে, এই ব্যবস্থাপনায়  পণ্যের ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের খরচ এবং সময় কমিয়ে আনবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বীমা, পরিবহন এবং অর্থনৈতিক লাভও হবে। কারণ ওইসব পণ্য পরিবহণের জন্য  শুধুমাত্র স্থানীয় ট্রাকগুলি ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ব্যবহার করা হবে।

এই চুক্তিটি বিঘ্ন ছাড়াই বাস্তবায়িত হলে ভারতের বাচঁবে সময় ও বাড়তি খরচ। আর বাংলাদেশ পাবে বাড়তি রেভিনিউ। যা দেশের অর্থনীতিতে উপাদান যোগাবে। একই সঙ্গে এই চুক্তির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্য বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। 

 

এসএএস/এএল

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ