প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২, ০১:৫৯ এএম
দখলে নেয়া ইউক্রেনের চার অঞ্চলে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার (১৯ অক্টোবর) রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই আদেশ জারি করে এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত মাসে ইউক্রেনের ওই চারটি অঞ্চল দখলের পর একতরফাভাবে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা দেয় মস্কো।
অঞ্চলগুলো হলো জাপোরিঝঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক। গত মাসে এসব অঞ্চল নিজেদের বলে ঘোষণা দেয় রাশিয়া। এর জবাবে এসব এলাকায় পাল্টাহামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে এমন পদক্ষেপ নিলেন পুতিন।
সামরিক আইন জারির ফলে এসব অঞ্চলে জনসাধারণের চলাচলের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলো। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) থেকে সামরিক আইন কার্যকর হবে। এই আইন কার্যকরের ফলে জাপোরিঝঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের জনসাধারণ চাইলেও আর অন্য এলাকায় যেতে পারবেন না।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে পুতিন ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টা জোরদারে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে দখলকৃত অঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ সমন্বয়কারী পরিষদ গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গত ৮ মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে একাধিক বড় ধরনের পরাজয়ের পর উত্তেজনা বৃদ্ধির মাঝে ভ্লাদিমির পুতিন দখলকৃত অঞ্চলে মার্শাল ল জারির এই উদ্যোগ নিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের আক্রমণের মুখে কিছু কিছু এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়ার সৈন্যরা।
ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়ার দখলে নেয়া চারটি অঞ্চলের একটি খেরসন। এই অঞ্চলে রাশিয়ার অনুগত কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়ার দিনে মার্শাল ল জারির এই ঘোষণা এসেছে। একই সাথে ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কায় খেরসনের কিছু এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।
জেডআই/