প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ১০:২৬ পিএম
রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে ইরাকের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানী। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল সুদানি ইরাকের পার্লামেন্টে ইরান সমর্থিত শিয়াদের বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটের নেতা। সে হিসেবেই তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করা হয়েছে।
তবে তিনি দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদরের সমর্থন পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। গত অক্টোবরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আল সদরের নেতৃত্বাধীন জোট ভালো ফল করেছিল।
এখন পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করতে হবে আল সুদানিকে। একই সঙ্গে তাকে ইরাকের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
আল সুদানি ইরাকের পার্লামেন্টে ইরান সমর্থিত শিয়াদের বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটের নেতা। সে হিসেবেই তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করা হয়েছে। তবে তিনি দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদার আল সদরের সমর্থন পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে ১৯৭০ সালে আল সুদানির জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। ইরান সমর্থিত ইসলামিক দাওয়া পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনের আমলে আল সুদানির বাবাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।
পরবর্তীতে সাদ্দাম হোসেনের পতনের উদ্দেশে শিয়া বিদ্রোহে যোগ দেন আল সুদানি। ওই সময় অনেকে দেশ ছেড়ে পালালেও ইরাকেই থেকে যান আল-সুদানি। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন বাহিনী হামলা চালালে তার রাজনৈতিক উত্থান ঘটে। সাদ্দামের পতনের পর তিনি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০০৪ সালে আল সুদানি ইরাকের আমারাহ শহরের মেয়র ছিলেন। পরে তিনি নিজ প্রদেশ মায়সানের গভর্নর হন। ইরাকের নুরি আল মালিকি ও হায়দার আল আবাদি সরকারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলেছেন আল সুদানি। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইরাকের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শ্রম ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
এএস/এএল