• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

২০১৮ সালেই র‌্যাবকে সহযোগিতা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: নেড প্রাইস

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০৯:৪৩ পিএম

২০১৮ সালেই র‌্যাবকে সহযোগিতা বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: নেড প্রাইস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ২০১৮ সালেই বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) সহযোগিতা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এ পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময়  বুধবার (১২ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে র‌্যাব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান ছয়জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শেই র‍্যাব সৃষ্টি হয়েছে এবং তারাই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নেড প্রাইস বলেন, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে র‌্যাবকে সহযোগিতা দেয়া আমরা বন্ধ করে দেই।

তিনি আরও বলেন, গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় র‌্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাতজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আমরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার আগেই আমাদের সহযোগিতা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়।

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে মানবাধিকারের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে নেড প্রাইস বলেন, এটা বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশ বা বিশ্বের যে কোনো প্রান্তেই হোক না কেন আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়টিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রাখি।

তিনি আরও বলেন, র‌্যাব এবং বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসায় বিধিনিষেধের লক্ষ্য হচ্ছে বাহিনীটিতে জবাবদিহি ও সংস্কার নিশ্চিতের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি অপরাধ দমনে নিজেদের সামর্থ্য, বিচারিক কার্যক্রম এবং আইনের শাসনের সুরক্ষা জোরদারের লক্ষ্যে অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় মৌলিক নীতিগুলোর বিকাশ হয়ে থাকে।

বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের ওপর সরকারের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সর্বজনীন অধিকারের চর্চাকারীদের ওপর হামলার ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য অভিন্ন।

শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলা, সমাবেশ করা এবং নিজেদের আকাঙ্ক্ষার চর্চার অধিকার  সবখানেই আছে।

জেডআই/এএল

আর্কাইভ