• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিশ্ব ডিম দিবস আজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২২, ০৫:১৫ পিএম

বিশ্ব ডিম দিবস আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্যে আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস উদযাপন করা হবে।

প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন–ডিমের খাদ্যমান ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা। একইসঙ্গে ভোক্তার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্তি উৎসাহিত করা। সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দেয়া হিসাব অনুযায়ী ২০১২-১৩ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৭৬১.৭৪ কোটি এবং ২০২১-২২ সালে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৩৫.৩৫ কোটিতে। অর্থাৎ গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রতি বছরে ১০৪টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৩৬.০১টি।

এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০ মিলি, ১৫০ গ্রাম এবং ১৬৫টি বছরে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে রূপকল্প-২০৪১ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে জনপ্রতি দুধ ৩০০ মিলি, মাংস ১৬০ গ্রাম ও ডিম ২০৮টি বছরে ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ডিম উৎপাদনের একটি প্রাক্কলন করেছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন হবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৪৬৪৮.৮ কোটি।

ডিমের পুষ্টিগুণ :

একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে। এছাড়াও ডিমে থাকা লিউটিন ও জেক্সানথিন চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ডিমে থাকা ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

এএস/এএল

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ